সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আজ রানের বন্যা বইয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ও খুলনা টাইগার্স। নবম বিপিএলে সবচেয়ে বেশি রানের ম্যাচে দুদলই ছুঁয়েছে দুইশ রান। তবে ৪২৫ রানের ম্যাচে শেষ হাসিটা হেসেছে ইমরুল কায়েসের কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।
মঙ্গলবার টানটান উত্তেজনার ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ২১০ রান করে খুলনা টাইগার্স। পাহাড়সম লক্ষ্যতাড়ায় অবশ্য বিচলিত হয়নি কুমিল্লা। বিশাল এক ছক্কা মেরে ১০ বল বাকি থাকতেই দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান কুমিল্লার ব্যাটার জনসন চার্লস।
সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন জনসন চার্লস। ১০৭ রানের ম্যাচজয়ী ইনিংস খেলতে বল খরচ করেছেন ৫৬টি। বিধ্বংসী ইনিংসে ৫ চারের পাশাপাশি ছয় মেরেছেন ১১টি। দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন মোহাম্মদ রিজওয়ানও। ৩৯ বলে তার ৭৩ রানের ইনিংসে ৮টি চারের পাশাপাশি ছিল ৪টি চারের মার।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়কে হারিয়ে চাপে পড়ে খুলনা। তবে চাপ সামলে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন তামিম-হোপ জুটি। কুমিল্লার বোলারদের রীতিমত নাভিশ্বাস তুলেছেন এই দুই ব্যাটার। তামিম সেঞ্চুরির কাছে গিয়েও হয়েছেন সেঞ্চুরি বঞ্চিত। ইনিংসের শেষ ওভারে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে ৯৫ রানে বিদায় নেন তিনি।
হোপের সামনেও ছিল সেঞ্চুরির সুযোগ। তবে শেষ পর্যন্ত সেটা আর হয়ে উঠেনি। স্ট্রাইক না পাওয়ায় হোপকে ৯১ রানে অপরাজিত থেকেই মাঠ ছাড়তে হয়েছে। তবে শেষ দিকে ব্যাট হাতে নেমে ছোট্ট ক্যামিও খেলেন আজম খান। তাতেই খুলনার স্কোর ২০০ রান পেরিয়ে যায়। আজম ৪ বলে ১২ রান করে অপরাজিত থাকেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে প্রথম বলেই ৪ মেরে ভালো শুরুর আভাস দেন লিটন। কিন্তু পরের বলেই চোট পেয়ে মাঠ ছাড়তে হয় তারকা এ ওপেনারকে। এরপর আর মাঠে ফিরতে পারেননি তিনি। তিনে নেমে খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি ইমরুল কায়েস। ফিরেছেন পাঁচ রান করে। এরপর উইকেটে আসেন চার্লস।
দ্বিতীয় উইকেটে চার্লসের সঙ্গে ১২২ রানের জুটি গড়েন রিজওয়ান। দুজনেই খেলেছেন বিধ্বংসী ইনিংস। তাতে জয় অনেকটা সহজ হয়ে যায় কুমিল্লার। শাই হোপের দুর্দান্ত এক ক্যাচে রিজওয়ান ফিরলেও লড়াই চালিয়ে যান চার্লস। সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে অপরাজিত থেকে দলকে নিয়ে যান জয়ের বন্দরে।
জেএন/এমআর