প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় (পিএমও) ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে অফিসের বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ খাতে বরাদ্দ কমিয়ে ২৬ কোটি ৪৩ লাখ টাকা সরকারি কোষাগারে ফেরত দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) পিএমও মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মদ আহসান কিবরিয়া সিদ্দিকী সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, চলতি অর্থবছরের বাজেট সংশোধনের সময় আমরা লক্ষ্য করি যে আমরা বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ খাত থেকে সরকারকে প্রায় ২৭ কোটি টাকা ফেরত দিতে পারি।
দেখা যায়, ২৬ কোটি ৪৩ লাখ টাকা পাওয়া যায়- যা ফেরত দেওয়া যেতে পারে। এই অর্থ সংসদীয় বাজেট থেকে অর্থ বিভাগে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান মোহাম্মদ আহসান কিবরিয়া।
তিনি বলেন, আমরা অর্থবছরের শুরু থেকে পরিকল্পিতভাবে পিএমওতে ধীরে ধীরে ব্যয় হ্রাস করেছি। আমরা জুলাই মাসে চলতি আর্থিক বছরের শেষ নাগাদ আমাদের অফিসের খরচ আরও কমানোর চেষ্টা করছি।
আহসান বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাদের সম্ভাব্য খাত থেকে অর্থ সাশ্রয় করে, অর্থ বিভাগে ফেরত দেওয়ার নির্দেশনা দেন এবং সে অর্থ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে দেওয়ার আহ্বান জানান। আমরা ২০২০ সাল থেকে সেই কাজ শুরু করি।
পিএমও কর্মকর্তা বলেন, ২০২২ সালে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক সংকট দেখা দিলে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুসারে আমরা অফিস ব্যয় আরও কমাতে শুরু করি।
প্রথমে আমরা বিদ্যুৎ খরচ কমাই। এরপরে আমরা পেট্রোল ও লুব্রিকেন্টস সেক্টরের দিকে নজর দেই এবং আমরা অত্যন্ত বৈজ্ঞানিক উপায়ে যানবাহনের রেশনিং করে তাও কমিয়ে আনি।
তিনি আরও জানান, খাবারের মেন্যুকে খুব সিম্পল করে আপ্যায়নের খরচও কমানো হয়েছে।
জেএন/পিআর