দেশের শীর্ষ ২০ ঋণ খেলাপিদের মধ্যে অন্যতম আসলাম চৌধুরীর রাইজিং ষ্টীল লিমিটেডের মালিকের ছোট ভাই পরিচালক জসিম উদ্দিন চৌধুরীকে র্যাব গ্রেফতার করেছে।
রাইজিং স্টীল লিমিটেডের পরিচালক জসিম উদ্দিন চৌধুরীর বিরুদ্ধে বেসরকারী এবি ব্যাংকের তিনশত ২৫ কোটি ছিয়াত্তর লক্ষ টাকা আত্মসাতের দুদকের মামলা রয়েছে।
১০ ফেব্রুয়ারি রাত দেড়টায় র্যাবের একটি বিশেষ আভিযানিক দল ফেনী মডেল থানাধীন মোহাম্মদ আলী বাজার থেকে তাকে আটক করে।
গত ২৪ জানুয়ারি সরকার শীর্ষ ২০ জন ঋণ খেলাপীর নাম প্রকাশ করে। যা নিয়ে সারাদেশব্যাপী ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। প্রকাশিত তালিকায় চট্টগ্রামের আসলাম চৌধুরীর রাইজিং স্টিল লিমিটেডের ঋণ ১,১৪২ কোটি টাকা উল্লেখ করা হয়েছে।
জাতীয় সংসদেও ঋণখেলাপীদের তথ্য উপস্থাপিত হওয়ার সাথে সাথে র্যাব ঋণ খেলাপিদের বিরুদ্ধে ছায়া তদন্ত শুরু করে।
প্রাথমিক তদন্তে রাইজিং স্টীল লিমিটেডের পরিচালক জসিম উদ্দিন চৌধুরীর বিরুদ্ধে বেসরকারী এবি ব্যাংক থেকে তিনশত পচিঁশ কোটি ছিয়াত্তর লক্ষ ত্রিশ হাজার নয়শত পঞ্চান্ন টাকা আত্মসাতের দুদকের মামলার তথ্য পাওয়া যায়।
২০১৬ সালের ১৭ জুলাই দুদক বাদী হয়ে চট্টগ্রামের হালিশহর থানায় একটি মামলা দায়ের করে যা বর্তমানে চট্টগ্রামের বিশেষ জজ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
এই মামলায় রাইজিং স্টিল লিমিটেডের পরিচালক জসিম উদ্দীন চৌধুরীকে ৩নং আসামী করে ২০১৭ সালে চার্জশীট দাখিল করে। চার্জশীট গঠনের পর থেকেই জসিম উদ্দিন চৌধুরী পলাতক ছিল।
আসলাম চৌধুরী, তার স্ত্রী জামিলা নাজনীন মাওলা, দুই ভাই জসিম উদ্দিন চৌধুরী ও আমজাদ হোসেন চৌধুরীর বিরুদ্ধে বেসরকারি এবি ব্যাংকের সোয়া ৩০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে একটি মামলার বিচার কাজ শুরু হয়েছে গত ০৬ জানুয়ারি। আগামী ২ মার্চ মামলাটির সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য্য আছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আসলাম চৌধুরীর পারিবারিক মালিকানাধীন রাইজিং স্টিল লিমিটেড পুরনো জাহাজ কেনার জন্য ২০১১ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে তিনটি ঋণপত্রের (এলসি) বিপরীতে এবি ব্যাংক চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ শাখা থেকে ৩২৫ কোটি ৭৬ লাখ ৩০ হাজার ৯৫৫ টাকা ঋণ নিয়ে তা পরিশোধ করেননি।
ওই ঘটনায় ২০১৬ সালের ১৭ জুলাই দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক মানিকলাল দাশ বাদি হয়ে আসলাম চৌধুরী ও তার দুই ভাই জসিম চৌধুরী, আমজাদ চৌধুরী এবং আসলাম চৌধরীর স্ত্রী নাজনীন মাওলাকে আসামি করে মামলা করেন। গত ৬ জানুয়ারি আদালত মামলাটির অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীর নামে চট্টগ্রাম মহানগরীর ডবলমুরিং থানায় মামলা নং ১৩(৭) ১৬ জিআর মামলা নং ০৯/১৬, সিআর মামলা নং ৯১১/১৯, ৬৯৪/১৯, ২৭৮/২০, ২৭৭/২০ এবং মতিঝিল থানায় সিআর মামলা নং ২৮৭৬/১৮/, ২৮৭৫/১৮ সহ সর্বমোট ৮ টি মামলার ওয়ারেন্ট পাওয়া যায়।
তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সীতাকুণ্ড থানার মামলা নং -১৯ তারিখ ১৬ আগস্ট ২০১৮ ধারা-২৮৫/৩৩৬/৩০৪(ক)/৩৪ পেনাল কোড ১৮৬০ এর এজাহার ও ওয়ারেন্ট এর মূলে সীতাকুণ্ড থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
জেএন/এফও/পিআর