বুয়েট, চিটাগাং চেম্বার ও বাংলাদেশ সেন্টার অব এক্সিলেন্স’র মধ্যে সমঝোতা স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), দি চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি (সিসিসিআই) এবং বাংলাদেশ সেন্টার অব এক্সিলেন্স (বিসিই)’র মধ্যে ১২ ফেব্রুয়ারি একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।

- Advertisement -

এ উপলক্ষে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চেম্বারের প্রাক্তন সভাপতি ও নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য এম. এ. লতিফ এমপি।

- Advertisement -google news follower

সমঝোতা স্মারকে বুয়েট’র পক্ষে উপাচার্য প্রফেসর ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার, চিটাগাং চেম্বারের পক্ষে সভাপতি মাহবুবুল আলম এবং বাংলাদেশ সেন্টার অব এক্সিলেন্স (বিসিই)’র পক্ষে ট্রেজারার সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর স্বাক্ষর করেন।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে চেম্বারের প্রাক্তন সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আলী আহমেদ, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট’র সদ্য নির্বাচিত চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার এম এ রশিদ, চেম্বার পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার ইফতেখার হোসেন, উইম্যান চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি’র সিনিয়র সহ-সভাপতি আবিদা মোস্তফা, পিএইচপি মোটরস’র এমডি মোঃ আক্তার পারভেজ বক্তব্য রাখেন।

- Advertisement -islamibank

বুয়েটের গবেষণা ও উদ্ভাবন কেন্দ্রের পরিচালক প্রফেসর মুহাম্মদ আনিসুজ্জামান তালুকদার বুয়েটের বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে তথ্যচিত্র উপস্থাপন করেন। এ সময় চেম্বার পরিচালকবৃন্দ মোঃ অহীদ সিরাজ চৌধুরী (স্বপন), অঞ্জন শেখর দাশ, মোঃ ইফতেখার ফয়সাল, মোহাম্মদ আদনানুল ইসলাম, তানভীর মোস্তফা চৌধুরী, মোহাম্মদ নাসিরুল আলম (ফাহিম)-সহ ট্রেডবডি নেতৃবৃন্দ, চট্টগ্রামের শীর্ষস্থানীয় শিল্প প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি ও সরকারী উর্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথি এম. এ. লতিফ এমপি বলেন-যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে শিক্ষা ক্ষেত্রে শক্তিশালী এবং একটি শিল্পোন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় আইন প্রণয়ন করেন। ২০৪১ সালে জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতি গড়ে তুলতে আমাদের শিক্ষা, প্রকৌশল ও শিল্প খাতকে একীভূত করা প্রয়োজন। দেশের মেধা পাচাররোধে মোটিভেশনাল কার্যক্রম বৃদ্ধির মাধ্যমে গবেষণামূলক কর্মকান্ডের সুযোগ বৃদ্ধি করতে হবে। তিনি এই সমঝোতা স্মারক পরবর্তী নিয়মিত তত্ত্বাবধান এবং কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের উপর গুরুত্বারোপ করেন।

বুয়েট উপাচার্য প্রফেসর ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার বলেন-বাংলাদেশকে শিল্পোন্নত করার যে উদ্দেশ্য নিয়ে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয় তার কাঙ্খিত প্রতিফলন হচ্ছে না। এখানকার শিক্ষার্থীরা পড়াশুনা শেষে বিশ্বের নামীদামি প্রতিষ্ঠানে কাজ করার ফলে মেধাবীরা দেশের বাইরে চলে যাচ্ছে। আমরা বিপুল অংকের অর্থের বিনিময়ে বাইরে থেকে সফটওয়্যার আমদানি করছি যা আমাদের ছাত্ররাই বিদেশী প্রতিষ্ঠানের হয়ে তৈরি করছে। তাই আগামীর স্মার্ট ও প্রযুক্তি নির্ভর দেশ গড়তে হলে এদের ধরে রাখতে হবে। এজন্য গবেষণা ক্ষেত্রে দেশকে এগিয়ে নিতে এবং ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে আমরা যৌথভাবে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে কাজ করছি।

চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন-১ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে পরিণত হওয়া এবং দেশের অবকাঠামো খাতে যে বিশাল বিনিয়োগ তা পুরোপুরি কাজে লাগাতে হলে আমাদের রপ্তানি সূচককে আরো বৃদ্ধি করতে হবে যা কেবলমাত্র পণ্যের বৈচিত্র্যকরণের মাধ্যমে রপ্তানি ঝুড়িকে সমৃদ্ধ করার মাধ্যমে সম্ভব। এক্ষেত্রে আমাদের উৎপাদনশীলতা এবং দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি গবেষণা এবং প্রযুক্তির সমন্বয় প্রয়োজন। বুয়েট চিটাগাং চেম্বারের সাথে সহযোগিতার মাধ্যমে চট্টগ্রামের বেসরকারী খাতগুলোর সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে এবং শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে মানানসই নতুন উদ্ভাবনী সমাধান নিয়ে এগিয়ে আসবে বলে চেম্বার সভাপতি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

চেম্বার সহ-সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের মূল্য লক্ষ্য, উদ্দেশ্য এবং বিষয়বস্তু সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন।
জেএন/এফও/এমআর

KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM