বিশ্ব ভালবাসা দিবসে কক্সবাজারের বাজারঘাটা সি বার্ড হোটেলে অবৈধ শারীরিক সম্পর্কে জড়াতে এসে পরকীয়া প্রেমিক মোস্তাফিজুর রহমানের (৫২) সঙ্গে জেসমিন আকতারের (২৭) ঝগড়া হয়। সেখানেই পরকীয় প্রেমিকের হাতে খুন হন জেসমিন। গা ঢাকা দিতে মোস্তাফিজ চলে আসেন চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে। তবে শেষ রক্ষা হয়নি পালিয়েও। শুক্রবার রাতে হাটহাহাজারী থানাধীন চৌধুরীরহাট এলাকা থেকে র্যাব সদস্যরা তাঁকে ধরতে সক্ষম হন।
মোস্তাফিজুর রহমান বাগেরহাট জেলার সদর থানার আতাইকাঠি এলাকার আব্দুল জব্বারের ছেলে। তিনি আগে পাঁচ বার গ্রেফতার হয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে ঢাকা ও কক্সবাজার জেলায় ৪টি মাদক মামলা রয়েছে। এছাড়াও ২০১৮ সালের ২৩ জুন ঢাকার দক্ষিণখান থানায় চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে জোরপূর্বক পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করার বিষয়ে একটি মামলা হয় এবং ওই মামলায় তিনি গ্রেফতার হন।
শনিবার দুপুরে নগরীর চান্দগাঁও ক্যাম্পে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-৭ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মাহবুব আলম বলেন, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় কক্সবাজার পৌর সদরের বাজারঘাটা এলাকার সী-বার্ড হোটেল থেকে জেসমিন আক্তার নামে এক নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় র্যাব-৭, র্যাব-১৫ ও র্যাবের গোয়েন্দা শাখা একযোগে তদন্তে নামে। এক পর্যায়ে শুক্রবার আসামির অবস্থান শনাক্ত করা হয়। এরপর হাটহাহাজারী থানাধীন চৌধুরীরহাট এলাকা থেকে আসামি মোস্তাফিজুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাঁর কাছ থেকে আগ্রা ১০০ নামক সিলডেনাফিল গোত্রের যৌন উত্তেজক ওষুধ উদ্ধার করা হয়।
র্যাব-৭ এর অধিনায়ক আরও বলেন, হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজে ১৪ ফেব্রুয়ারি হোটেলে ওই নারী প্রবেশের সময় পরনের কাপড়ের সাথে নিহত হওয়ার পর পরনের কাপড়ের মিল পাওয়া যায়। এছাড়াও সিসিটিভির ক্যামেরায় মোস্তাফিজুর রহমানের চেহারাও স্পষ্ট দেখা গেছে।
সংবাদ লে. কর্নেল মো. মাহবুব আলম বলেন, নিহত নারীর ফিঙ্গারপ্রিন্টে তাঁর পরিচয় সম্পর্কে কোন তথ্য পাওয়া যায় নি। এছাড়া কেউ তার অভিভাবকত্ব দাবি না করায় তার সম্পর্কে বেশি কিছু জানাও সম্ভব হয় নি। নিহত নারীর অভিভাবকত্ব কেউ দাবি না করায় আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের মাধ্যমে অজ্ঞাতনামা হিসেবে দাফন করা হয়।
এদিকে গ্রেফতার মোস্তাফিজুর রহমানকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
জেএন/এফও/এমআর