সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নুরী বলেছেন, ‘সারা পৃথিবীর গতি বেড়েছে, আমাদের গতি বেড়েছে। এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় দ্রুত ও সহজে চলে যেতে পারি। তবে সব কিছুর গতি বাড়লেও আমাদের আচরণগত পরিবর্তন হয়নি। নিরাপদ সড়কের জন্য আমাদের ট্রাফিক আইন মেনে চলতে হবে। আরো বেশি সচেতন ও সাবধান হতে হবে। নিরাপদ সড়কের জন্য আমাদের সবাইকে নিজ থেকে উদ্বুদ্ধ হতে হবে।
শনিবার দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে সড়ক পরিবহন-মহাসড়ক বিভাগের কার্যাক্রম ও সেবা প্রদান সংক্রান্ত তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯ বিষয়ক মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তেব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সড়ক ও জনপদ চট্টগ্রাম জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. আতাউর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় তথ্য অধিকার বিষয়ক উপস্থাপনা করেন সড়ক পরিবহন ও মহাসক বিভাগের যুগ্মসচিব (আইন) মোস্তাইন বিল্লাহ।
এছাড়াও বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট করপোরেশন (বিআরটিসি) ও সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের চট্টগ্রামের বিভিন্ন চলমান কার্যক্রম উপস্থাপন করা হয়।
সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিআরটিসির চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো.ইসহাক, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার (এনডিসি) ড. মো. আমিনুর রহমান, সিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার এম এ মাসুদ, চট্টগ্রাম বিভাগের অতিরিক্ত ডিআইজি মাহফুজুর রহমান, চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এলএ) আবু রায়হান দোলন ও বিআরটিএ চট্টগ্রাম বিভাগের পরিচালক শফিকুজ্জামান ভূঁঞা প্রমুখ।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নুরী বলেন, বিআরটিসি ও বিআরটিএ এর সেবাকে আরও জনবান্ধব ও গতিশীল করতে হবে। দুর্নীতিমুক্ত হলে দেশ এগিয়ে যাবে। আমরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলি, কিন্তু‘ দুর্নীতি ধরিয়ে দিই না। দুর্নীতি দেখিয়ে দিলে আমরা কঠোর ব্যবস্থা নেব। দুর্নীতিকে কোন অবস্থাতেই ছাড় নেই। দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে হবে।
বিআরটিএ চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার বলেন, দেশ ছিল আগে ছিল ডিজিটাল, এখন স্মার্ট হয়েছে। উন্নত দেশগুলো একদিনে উন্নত হয়নি। যে কোন ভাল কাজে পেইন আছে। উন্নয়নের যন্ত্রণা সহ্য করতে হবে। বিআরটিএ একটি আধুনিক সুযোগ সুবিধা সংবলিত মানসম্মত প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। সব সেবা ডিজিটালে পরিণত হয়েছে। অনিয়ম-দুর্নীতি কোন সুযোগ নেই।
জেএন/এফও/এমআর