চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ছাত্রলীগের বিজয় গ্রুপের দুই পক্ষে দফায় দফায় সংঘর্ষের পর দুইটি আবাসিক হলে দুটি আবাসিক হলে তল্লাশি চালিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
শুক্রবার রাত ১২টা থেকে সোয়া ২টা থেকে পর্যন্ত পুলিশের সহযোগিতায় প্রক্টোরিয়াল বডির সদস্যরা এই অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় কাউকে আটক করা না গেলেও সোহরাওয়ার্দী ও আলাওল হল থেকে তিনটি রামদা ও একটি স্টাম্প উদ্ধারের তথ্য দিয়েছেন চবি কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ড. শহীদুল ইসলাম বলেন, আমরা প্রক্টরিয়াল বডি ও পুলিশ দুটি আবাসিক হলে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছি। এ সময় কিছু দেশীয় তৈরি অস্ত্র জব্দ করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, হলের কক্ষ দখল, টেন্ডারের টাকা ভাগবাটোয়ারা ও গ্রুপের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে বিজয় গ্রুপের দুই পক্ষের মধ্যে কোন্দল চলছিল।
গত সোমবার একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে আল-আমিনের অনুসারী কর্মীরা এ এফ রহমান হল ও আলাওল হল থেকে ফুল নিয়ে সোহরাওয়ার্দী হল প্রাঙ্গণে এলে দেলওয়ারের অনুসারীদের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডা শুরু হয়।
একপর্যায়ে তা রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে রূপ নেয়। এতে উভয় পক্ষের ১৫ জন কর্মী আহত হন। এ ঘটনার জেরে দুই পক্ষের মধ্যেই কয়েক দিন ধরে উত্তেজনা চলছিল।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে ফের সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দুই পক্ষ। সংঘর্ষের একপর্যায়ে আল আমিনের অনুসারীরা এফ রহমান ও আলাওল হল থেকে এসে সোহরাওয়ার্দী হলে অতর্কিতভাবে হামলা করে। পরে সোহরাওয়ার্দী হল থেকে দেলোয়ারের অনুসারীরা বের হলে সংঘর্ষ শুরু হয়।
এ সময় পুলিশের উপস্থিতিতে উভয়পক্ষের হাতে দেশীয় অস্ত্র দেখা যায়। এক পক্ষ ওপর পক্ষের দিকে অনবরত ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। ভাঙচুর করা হয় সোহরাওয়ার্দী হলের আটটি কক্ষ।
পরে প্রক্টরিয়াল বডির উপস্থিতিতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এ ঘটনার পরই হলে তল্লাশি অভিযান চালায় প্রশাসন।
জেএন/পিআর