ক্ষমতায় এসেছেন দু’বছর হয়ে গেল। হোয়াইট হাউসে কেমন কাটল ডোনাল্ড ট্রাম্পের! জনগণই বা কতটা সন্তুষ্ট তার শাসনকার্যে? উত্তর মিলবে আজই। মঙ্গলবার (৬ নভেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রে মধ্যবর্তী নির্বাচন। যার দিকে তাকিয়ে আছে গোটা বিশ্ব।
মার্কিন শাসনব্যবস্থার শীর্ষে রয়েছেন প্রেসিডেন্ট। ওই পদের মেয়াদ চারবছর। প্রতি চারবছর অন্তর সেখানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয়। তাতে যিনি জয়ী হন, দু’বছরের মাথায় আর একটি নির্বাচনের মধ্য দিয়ে যেতে হয় তাকে। সেটিই মধ্যবর্তী নির্বাচন।
ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট সম্পর্কে মানুষের কি ধারণা, তার কাজকর্ম পছন্দ হচ্ছে কি-না, দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা কতটা, এই নির্বাচনেই তা স্পষ্ট হয়ে যায়।
২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয়। তাতে বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে দেশের ৪৫তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন ডোনাল্ড ট্রাম্প। রিপাবলিকানদের তরফে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী মনোনীত হওয়ার পর থেকে ভোটের দিন পর্যন্ত একের পর এক বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন তিনি।
২০১৭ সালের ২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নেওয়ার পরই অভিবাসন নীতিতে কড়াকড়ি, স্বাস্থ্য বিল বা কর্মক্ষেত্রে সন্তানসম্ভবা নারীদের সুযোগ সুবিধা- একের পর এক বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিতে শুরু করেন তিনি। পর্নো তারকার সঙ্গে তার পুরানো কেচ্ছাও সামনে চলে আসে। তবে হাজার বিতর্কের মধ্যেও মার্কিন রাজনীতিতে ক্রমশ জাঁকিয়ে বসতে শুরু করেন ট্রাম্প। এককালে তাকে নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত রিপাবলিকানরা এখন তার গুণগান করে বেড়াচ্ছেন। তাই ডেমোক্র্যাটরা সবরকম চেষ্টা চালালেও, তারকাদের নিয়ে ‘ট্রাম্প হটাও’ আন্দোলনে নামলেও, জনগণের রায় তাদের পক্ষে যাবে বলে দৃঢ় বিশ্বাস রিপাবলিকানদের।
মার্কিন কংগ্রেসের নিম্ন কক্ষে হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভদের ৪৩৫ এবং সিনেটের ১০০টির মধ্যে ৩৫টি আসনে মঙ্গলবার নির্বাচন হবে। এছাড়া নির্বাচন হবে ৩৬টি গভর্নর পদ এবং ছয় হাজার প্রাদেশিক আইনসভা আসনেও।
জয়নিউজ/আরসি