মাহবুুব ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল চীন থেকে জিপার আমদানির ঘোষণা দিয়েছিল। কিন্তু তারা জিপারের বিপরীতে আনে কাপড়। জিপার আমদানির শুল্ক কর ১০ লাখ ৬৬ হাজার টাকা। অন্যদিকে কাপড়ের কাস্টমস শুল্ক কর ৮৮ লাখ ৯০ হাজার টাকা। ৭৮ লাখ টাকারও বেশি শুল্ক ফাঁকি দিতে চেয়েছিল প্রতিষ্ঠানটি। কিন্তু চালানটি খালাসের আগে কায়িক পরীক্ষায় কাস্টমসের এআইআর (অডিট ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চ) শাখার হাতে ধরা পড়ে।
চট্টগ্রাম কাস্টমস কমিশনার ড. এ কে এম নুরুজ্জামান জয়নিউজকে বলেন, মাহবুুব ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল চীন থেকে জিপার আনার ঘোষণা দেয়। কিন্তু কায়িক পরীক্ষা করতে গিয়ে কনটেইনারের ভিতর মেলে কাপড়। প্রতিষ্ঠানটি যে পরিমাণ জিপার আমদানির ঘোষণা করে তার কাস্টমস শুল্ক কর ১০ লাখ ৬৬ হাজার টাকা। বিপরীতে তথ্য গোপন করে আনা কাপড়ের কর ৮৮ লাখ ৯০ হাজার টাকা। আমদানিকারক তাদের অপরাধ স্বীকার করায় ২১ লাখ টাকার অর্থদণ্ড করা হয়।
এআইআর শাখার ডেপুটি কমিশনার মো. শাহীনূর কবির পাভেল জয়নিউজকে বলেন, কাস্টমস কমিশনারের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এআইআর শাখা মাহবুব ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের পণ্য খালাস স্থগিত করে। কায়িক পরীক্ষা করে দেখা যায়, পোশাকের জিপার লং চেইন ঘোষণা দিয়ে তারা প্যান্টিং ফেব্রিক্স ও কার্টেইন ফেব্রিক্স এনেছে। চালানটি জব্দ হয়।
কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, পণ্য খালাসের দায়িত্বে ছিল সিএন্ডএফ এজেন্ট নর্থ ওয়েস্ট প্রাইভেট লিমিটেড। সিএন্ডএফ এজেন্ট ও কাস্টমস হাউসের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে চালানটির শতভাগ কায়িক পরীক্ষা করা হয়। কায়িক পরীক্ষা শেষে ঘোষণা বহির্ভূত অতিরিক্ত পণ্য পাওয়া যায়। পণ্যগুলোর শুল্কায়নযোগ্য মূল্য প্রায় ৯৬ লাখ ৮০ হাজার টাকা। শুল্ক কর ও জরিমানাসহ পণ্যগুলোর মূল্য ২ কোটি ৬ লাখ টাকা। চালানের বি/ই নং ১৫৬০৩৫৯। ২৮ অক্টোবর চালানটি খালাসের আবেদন জানিয়েছিল তারা। আবেদনের ভিত্তিতে কাস্টমস কর্মকর্তারা কাজ শুরু করে। মিথ্যা তথ্য দিয়ে পণ্য আনার বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় ৫ নভেম্বর চালানটি আটক করা হয়।
জয়নিউজ/ মনির ফয়সাল/ আরসি