বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে প্রথম দ্বিপাক্ষিক সিরিজের প্রথম ম্যাচে সফরকারীদের ৬ উইকেটে হারিয়ে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম জয়ের স্বাদ পেল টাইগাররা। আর এই জয়ের মাধ্যমে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ। শুরুতে নেমে ১৫৬ রান তুলে ইংলিশরা। জবাবে ১২ বল ও ৬ উইকেট হাতে রেখে জয় পায় স্বাগতিকরা।
রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই দ্রুত রান তুলতে থাকেন দুই টাইগার ওপেনার রনি তালুকদার ও লিটন দাস। ৩.৩ ওভারে ৩৩ রানে থামে ওপেনিং জুটি। মাত্র ১৪ বলে ২১ রান করেন রনি। লিটনের ব্যাট থেকে এসেছে ১০ বলে ১২ রান।
তৃতীয় উইকেট জুটিতে অভিষিক্ত তৌহিদ হৃদয়কে সঙ্গে নিয়ে ব্যাট হাতে ক্রিজে ঝড় তোলেন নাজমুলে হোসেন শান্ত। মাত্র ৩৯ বলে দুজন মিলে গড়েন ৬৫ রানের জুটি। তাতেই জয়ের ভিত পেয়ে যায় দল। দ্রুত ফিফটি পূরণের পর ৩০ বলে ৫১ রানে ফেরেন শান্ত। হৃদয়ের ব্যাট থেকে ১৭ বলে এসেছে ২৪ রান।
এরপর আফিফ হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে জয় নিশ্চিত করেন টাইগার দলনেতা সাকিব আল হাসান। ২৪ বলে ৩৪ রানে সাকিব ও ১৩ বলে ১৫ রানে আফিফ অপরাজিত থাকেন।
এর আগে ম্যাচের শুরুত টস জিতে ইংল্যান্ডকে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানান বাংলাদেশি দলনেতা সাকিব আল হাসান। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দলকে দারুণ সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার জস বাটলার ও ফিল সল্ট। ওপেনিং জুটিতে ১০ ওভারে আসে ৮০ রান।৩৫ বলে ৩৮ রান করে আউট হন সল্ট।
পরের উইকেটে নেমে সুবিধা করতে পারেননি বাঁ-হাতি ব্যাটার ডেভিড মালান। সাকিব আল হাসানের করা বলে ৭ বলে ৪ রানে আউট হন মালান। তবে তৃতীয় উইকেটে যোগ্য সঙ্গী পান ওপেনার বাটলার। দুর্দান্ত ব্যাট করতে থাকেন বেন ডাকেট। দুজন মিলে গড়ন ৪৭ রানের জুটি। ১৩ বলে ২০ রান করে আউট হন ডাকেট। এদিকে ফিফটি করার পর ৪২ বলে ৬৭ রানে ফেরেন বাটলার।
এরপর ব্যাট হাতে সুবিধা করতে পারেননি কেউই। স্যাম কারেন ৬ ও ক্রিস ওকস ১ রান করেন। আর ৮ রানে মঈন আলী ও ৫ রানে ক্রিস জর্ডান অপরাজিত থাকেন।
বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ দুটি উইকেট নেন হাসান মাহমুদ। এছাড়া একটি করে উইকেটের দেখা পেয়েছেন চারজন বোলার।
জেএন/এমআর