বাংলাদেশ পুলিশের জন্য বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে বুধবার (১৫ মার্চ) ১৫টি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও প্রজনন ঘোড়া আমদানি করা হয়েছে। এর মধ্যে ১১টি রাইডিং ঘোড়া ও ৪টি প্রজনন ঘোড়া রয়েছে।
এ চালানে মোট ২০টি ঘোড়া আমদানি করা হবে। বাকি ৫টি আগামীকাল বৃহস্পতিবার ভারত থেকে বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করবে। ঘোড়াগুলোর আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান হলো ইন্সপেক্টর জেনারেল অব বাংলাদেশ পুলিশ।
বুধবার (১৫ মার্চ) সন্ধ্যায় ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে ঘোড়াগুলো বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে। (যার মেনিফেস্ট নং-৮৩৪৮)।
ঘোড়াগুলো বেনাপোল বন্দর থেকে খালাস করনের কাজ করেন মাধ্যম এন্টারপ্রাইজ নামের একটি সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট। এর রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান হলো কলকাতার বিধাতা সাপ্লাইয়ার।
ঘোড়া আসার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট মাধ্যম এন্টারপ্রাইজের প্রতিনিধি এবং সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ এসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক সাজেদুর রহমান।
তিনি বলেন, আমদানিকৃত ১৫টি ঘোড়া আমাদের প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে খালাস করা হচ্ছে (যার বিল অব এন্ট্রি নং-২০৭৪৭ তারিখ-১৫-০৩-২৩)। ঘোড়াগুলো আমদানি করেছেন বাংলাদেশ পুলিশ।
ঘোড়াগুলো খালাস করার পর বেনাপোল বন্দর থেকে ঢাকার বসিলায় অস্থায়ী কোয়ারেন্টাইন ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে ২৮ দিন রাখা হবে। তারপর স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর রাজারবাগ পুলিশ লাইনে নিয়ে যাওয়া হবে।
বেনাপোল স্থলবন্দরের উপ পরিচালক (ট্রাফিক) মনিরুল ইসলাম জানান, ১৫টি ঘোড়া এক লাখ ৭০ হাজার ৯৭০ মার্কিন ডলারে আমদানি করা হয়েছে। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় এক কোটি ৮৪ লাখ ৯০ হাজার ১৭ টাকা।
তিনি আরও জানান, পুলিশের জন্য আমদানি করা ঘোড়াগুলো খালাসের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশ ঘোড়াগুলো রক্ষণাবেক্ষণের তদারকি করছেন।
বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি কামাল হোসেন ভূইয়া বলেন, আমদানি করা ১৫টি ঘোড়া খালাসের জন্য কাস্টমস ও বন্দরের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হয়েছে।
জেএন/পিআর