চীন সরকারের অর্থায়নে ১৫০ শয্যার বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট উপহার পেতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল। বিশেষায়িত এ বার্ন হাসপাতাল নির্মাণে চলতি মাসে বাংলাদেশ ও চীন সরকারের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর হয়।
খুব শীঘ্রই শুরু হবে এর নির্মাণকাজ। এজন্য চীনা সরকারের পছন্দকৃত জায়গায় অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করতে মাঠে নেমেছে জেলা প্রশাসনের টিম।
আজ মঙ্গলবার (২১ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে চট্টেশ্বরী রোডের গোঁয়াছি বাগান এলাকায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান শুরু করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ রানা ও তার টিম। অভিযান চলে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত।
অভিযানে অবৈধভাবে গড়ে উঠা কাঁচা ও আধা পাকা প্রায় তিন শতাধিক স্থাপনা ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেওয়া হয়।
প্রকল্প এলাকায় শতাধিক অবৈধ স্থাপনা রয়েছে জানিয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ রানা বলেন, বার্ন ইউনিটের জন্য নির্ধারিত স্থানটির অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিলো।
সর্বশেষ গতকাল ২০ মার্চ পর্যন্ত সময়সীমা শেষ হওয়ার পরও সরে না যাওয়ায় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
আজকের অভিযানে আনুমানিক ৩ শতাধিক সেমি পাকা স্থাপনা গুড়িয়ে অবৈধ দখলে যাওয়া প্রায় ৫ একর জমি উদ্ধার করা হয়। নির্ধারিত চট্টেশ্বরী রোডের গোঁয়াছি বাগান এলাকাটি পুরোপুরি দখলমুক্ত না হওয়া পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত রাখার কথা জানান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ রানা।
এদিকে অভিযানের বিষয়ে চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান বলেন, চমেক হাসপাতালের ১৫০ শয্যা বার্ণ ইউনিট তৈরির কাজ দ্রুত শুরু করতে চায় চীনের প্রতিনিধি দল।
এজন্য তাদের পছন্দকৃত প্রকল্প এলাকা থেকে স্টাফদের স্থাপনা সরিয়ে নিতে গত ১ ফেব্রুয়ারি নোটিশ প্রদান করা হয়। কিন্তু তারা নিজে থেকে সরে না যাওয়ায় জেলা প্রশাসন আজ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছে।
প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, নয় হাজার বর্গমিটার জায়গাজুড়ে ১৫০ শয্যার বিশেষায়িত এ হাসপাতালটি ৬ তলা বিশিষ্ট বহুতল ভবন করা হবে । হাসপাতালে তিনটি অত্যাধুনিক অপারেশন থিয়েটার, ১০টি আইসিইউ, ২৫টি এইচডিওসহ ১০০টি সাধারণ বার্ন বেড থাকবে।
এরমধ্যে প্রথম তলায় থাকবে ইর্মাজেন্সি ওর্য়াড এবং ওপিডি, দ্বিতীয় তলায় থাকবে তিনটি ওটি (অপারেশন থিয়েটার) এবং নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ), তৃতীয় তলার পুরোটা হাই ডিপেন্সি ইউনিট (এইচডিইউ), ৪র্থ এবং ৫ম তলায় থাকবে রোগীদের ওর্য়াড, ৬ষ্ঠ তলায় ওয়ার্ড এবং অফিস। এ প্রকল্পের বাজেট ধরা হয়েছে ১৮০ কোটি টাকা।
জেএন/পিআর