আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি কে, এমন প্রশ্নের উত্তর দিতে গেলে আপনাকে অবশ্যই আরেকবার পরিসংখ্যানে চোখ বুলাতে হবে। কারণ শীর্ষস্থান নিয়ে এ মুহূর্তে তুমুল লড়াই চলছে বাংলাদেশি অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান এবং কিউই পেসার টিম সাউদির মধ্যে।
দীর্ঘদিন আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ উইকেটের মালিক ছিলেন সাকিব আল হাসান। তবে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারকে ১৩৪ উইকেট শিকার করে ছাড়িয়ে গিয়েছিলেন টিম সাউদি। তবে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে সাউদিকে ছাড়িয়ে অনন্য উচ্চতায় উঠে গেছেন সাকিন।
বুধবার (২৯ মার্চ) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আইরিশদের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে সাকিবের নামের পাশে ছিল ১৩১ উইকেট। এদিন সফরকারীদের ২০৩ রানের টার্গেট দিয়ে বোলিংয়ে এসে আইরিশ ওপেনার রস অ্যাডায়ার, লোরকান টাকার (উইকেটরক্ষক), হ্যারি টেক্টর, গ্যারেথ ডেলানি ও জর্জ ডকরেলের উইকেট তুলে নেন বাঁহাতি এই স্পিনার।
এতে ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বারের মতো পাঁচ উইকেট শিকার করেছেন টাইগার পোষ্টারবয়। ম্যাচে ৫ উইকেট নিয়ে সর্বমোট ১৩৬ উইকেট শিকার করে কিউই পেসারকে পেছনে ফেলে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি হয়েছে বাংলাদেশের অলরাউন্ডার।
এই ম্যাচে প্রথম বাংলাদেশি বোলার হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে একাধিকবার ৫ উইকেট পেলেন সাকিব। সব মিলিয়ে সাকিবের আগে দুবার পাঁচ উইকেট শিকার করার কীর্তি ছিল আর ১১ জন বোলারের।
ম্যাচে ৪ ওভারে ২২ রানের বিনিময়ে ৫ উইকেট শিকার করেছেন সাকিব। বোলিংয়ে শেষ বলে বাঊন্ডারি না খেলে ক্যারিয়ারসেরা বোলিংটা (৫/২০) হয়েই যেত তার। আপাতত ম্যাচে অবশ্য তেমন কিছু যায় আসছে না তাতে।
এ তালিকায় সাকিব-সাউদির পরই আছেন রশিদ খান, ইশ সোধি ও লাসিথ মালিঙ্গা। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে রশিদ ১২৯টি, সোধি ১১৪টি ও মালিঙ্গা ১০৭টি উইকেট শিকার করেছেন। অবশ্য একশর মাইলফলকে সবার আগে পৌঁছান লঙ্কান পেসার।
টি-টোয়েন্টিতে একশর বেশি উইকেট শিকারিদের মধ্যে সবচেয়ে ভালো ইকোনমি রশিদ খানের; এরপরই সাকিবের স্থান। রশিদের ইকোনমি ৬.১৮ ও সাকিবের ৬.৮০। মালিঙ্গার ইকোনমি ৭.৪২, সোধির ইকোনমি ৮.০৫।
জেএন/এমআর