ভুমিহীন কোটায় কৃষি জমি বন্দোবস্তী নিয়ে পটিয়ায় দোকান তৈরির অভিযোগ পাওয়া গেছে। ইতোমধ্যে বেশকিছু দোকান নির্মাণ করে চুক্তিনামায় ভাড়ায় লাগিয়ত করা হয়েছে। উপজেলার হাবিলাসদ্বীপ ইউনিয়নের হুলাইন গ্রামের পাঁচুরিয়া এলাকায় মরহুম মাহমুদুর রহমানের পুত্র মোহাম্মদ ইদ্রিস সরকারি চুক্তি ভঙ্গ করে এ স্থাপনা তৈরি করেছেন।
বৃহস্পতিবার সকালে একই এলাকার আমিনুর রহমানের পুত্র মো. শেখ আহমদ সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এমন অভিযোগ তুলেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, একই এলাকার শফিকুল ইসলাম, দিদারুল ইসলাম, জায়দুল হক।
জানা গেছে, উপজেলার হাবিলাসদ্বীপ ইউনিয়নের পাচুরিয়া মৌজায় সরকারি ৭ শতক খাস জায়গা রয়েছে। এ জায়গা মাহমুদুর রহমানের নামে একসনা লীজ থাকলেও পরবর্তীতে তিনি মারা যাওয়ার পর তার পুত্র মোহাম্মদ ইদ্রিস নাদাবি ও অঙ্গীকারনামামুলে একই এলাকার শেখ আহমদসহ ৪জনের কাছে সাড়ে ৪ গন্ডা জায়গা দখল হস্তান্তর করেন। ২০১০ সালে মোহাম্মদ ইদ্রিস ভুমিহীন দাবি করে গোপনে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করে ওই জায়গা বন্দোবস্তী নেন। অথচ এর আগে ২০০৫ সালে ইদ্রিস অঙ্গীকারনামা ও ২০০৬ সালে নাদাবি দিয়ে ওই জায়গা দখল হস্তান্তর করেন। তাছাড়া কৃষি জমির তথ্য গোপন করে বন্দোবস্তী নেওয়ার ঘটনায় পটিয়া সহকারী কমিশনার (ভুমি) রাজিব হোসেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসককে গত ২০২২ সালের ১৩ মার্চ একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন। এতে বন্দোবস্তী নীতিমালার ৮,১৩ ও ২১নং শর্ত সমূহ ভঙ্গ করা হয়েছে বলে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসককে লিখিতভাবে জানান। বর্তমানে ওই জায়গায় সেমিপাকা ১০টি দোকান রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে শেখ আহমদ জানিয়েছেন, সরকার ও তাদের সঙ্গে প্রতারনা করে মোহাম্মদ ইদ্রিস গোপনে ২২৮৭, ২২৮৮ দাগের ৭ শতক সরকারি জায়গা বন্দোবস্তী নেন। তথ্য গোপন ও সরকারি চুক্তি ভঙ্গ করায় বন্দোবস্তী বাতিল চেয়ে একই এলাকার মোহাম্মদ জসিম চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ করেন।
জেএন/এফও/এমআর