ঢাকাই ছবির জনপ্রিয় অভিনেত্রী মৌসুমী সম্প্রতি অভিনয়ের ৩০ বছর পূর্ণ করেছেন। এই সময়ে এসে বেশ কয়েকটি ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন এই নায়িকা।
সেই তালিকায় আছে- মারা যাওয়ার পর তার লাশ যেন কাউকে দেখতে দেওয়া না হয়, দর্শকদের কাছে থাকা ছবি ডিলিট করার আহ্বানও রয়েছে। একটি বেসরকারি টেলিভিশনের ‘১৩টি প্রশ্ন’ শিরোনামের আয়োজনে এমন ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন এই চিত্রনায়িকা।
মৌসুমীর এই ইচ্ছা প্রসঙ্গে কথা বলেছেন ইসলামী বক্তা আসসুন্নাহ ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা শায়খ আহমাদুল্লাহ। তাঁর ফেসবুক হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট দিয়েছেন। যেখানে শায়খ আহমাদুল্লাহ লিখেছেন, অভিনয়জীবনের ত্রিশটি বছর পার করার পর বাংলাদেশের সুপরিচিত এক অভিনেত্রী দর্শকদের কাছে অনুরোধ করেছেন, যাদের কাছে তার ‘ধুমধড়াক্কা’ ছবি (সিনেমা) সংরক্ষিত আছে, মৃত্যুর পর সবাই যেন তা ডিলিট করে দেয়। তা ছাড়া মৃত্যুর পর তার লাশ যেন কেউ না দেখে, দ্রুত গোপনে যেন তাকে দাফন করা হয়- এমন অনুরোধও ব্যক্ত করেছেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘গত কয়েক বছর ধরে এ দেশের সর্বসাধারণের মধ্যে দ্বিন পালনের যে আকাঙ্ক্ষা পরিলক্ষিত হচ্ছে, এই ঘটনা তারই ধারাপরম্পরা। আলোচিত এই নায়িকা স্টুডিওতে বসে ক্যামেরার সামনে যখন কথাগুলো বলেন, তখন ক্যামেরার পেছনে কোনো ক্যামেরাম্যান ছিল না। নায়িকাকে নির্জনে বিশেষ কিছু বলবার জন্য উপস্থাপক বেরিয়ে গিয়েছিলেন স্টুডিও থেকে।’
মৌসুমীকে স্বাগত জানিয়ে আহমাদুল্লাহ বলেন, ‘এমন একান্ত মুহূর্তে গভীরভাবে লালন করা আত্মগত বিশ্বাসই মানুষ নিবিড়ভাবে ব্যক্ত করে। যেন নিজের সঙ্গে নিজের গোপন বিশ্বাসের কথা বলা। নায়িকার এই উপলব্ধিকে আমরা স্বাগত জানাই।’
তিনি আরো বলেন, ‘নারী-স্বাধীনতার মুখরোচক স্লোগানে আত্মহারা হয়ে অনেক বোন নারীত্বের খোলস ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে আসেন। যাকে তারা মুক্তির উজ্জ্বল দীপশিখা ভেবে উন্মত্ত হন, দিন শেষে বুঝতে পারেন, আসলে তা অগ্নিগহ্বর ছাড়া কিছু নয়। কিন্তু সেই উপলব্ধি আসতে আসতে জীবনের অনেক কিছুই তারা হারিয়ে ফেলেন। আলোচিত নায়িকা তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ।’
নারীদের উদ্দেশে আহমাদুল্লাহ বলেন, ‘প্রিয় বোন, এমন ক্যারিয়ার গড়বেন না, যেখান থেকে দ্বিনে ফিরে আসাটা দুর্গম গিরি কান্তার মরু পাড়ি দেওয়ার মতো কঠিন হয়ে যায়। লাইফস্টাইল ও ক্যারিয়ার বাছাইয়ে সতর্ক না হলে হয়তো এমন দিন আসবে, যখন আপনার বোধোদয় হবে, কিন্তু পৃথিবীর বুক থেকে আপন পাপের চিহ্ন মুছে ফেলতে পারবেন না। সেদিন আপনার আফসোসই বাড়বে শুধু।’
জেএন/এমআর