চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) থেকে আটককৃত চবি ছাত্রলীগের সাবেক নেতা রাকিবের বিরুদ্ধে হাটহাজারী থানায় অস্ত্র ও মাদকসহ মোট নয়টি মামলা তদন্ত ও বিচারাধীন রয়েছে।
চট্টগ্রামের হাটহাজারী মডেল থানা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
গত ৩০ জুলাই সোমবার চবির শিক্ষক ক্লাবের সামনে থেকে শাখা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা রাকিব হোসাইনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তখন তার বাম পকেটে ১৫০ পিস ও ডান পকেটে ২০০ পিস এ্যামফিটামিনযুক্ত ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করে পুলিশ। এ তথ্য নিশ্চিত করে পুলিশ।
পরে এসআই রুহুল আমিন বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে ১৯৯০ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধিত-০৪ এর ১৯(১) এর টেবিল ৯(খ) অনুযায়ী মামলা দায়ের করে।
সূত্র জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ও থানার রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে তার বিরুদ্ধে অস্ত্র, ডাকাতি, দস্যুতা, হত্যাচেষ্টা ও মাদকসহ নয়টি মামলা তদন্তাধীন ও বিচারাধীন রয়েছে।
এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকুরি চেয়ে শাটল ট্রেনের বগি আটকে ড্রাইভারকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়েছিলেন এই ছাত্রলীগ নেতা। তখন বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর আলী আজগর চৌধুরী সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, সে যেহেতু অছাত্র সেহেতু তার বিরুদ্ধে আমরা ব্যাবস্থা নিতে পারছি না। পুলিশ প্রশাসন ব্যাবস্থা নিবে। তখন থেকেই নজরে রাখছিল পুলিশ।
এদিকে রাকিবের পিতা মুক্তিযোদ্ধা ও রাঙ্গামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা আজিজুর রহমান এক সংবাদ সম্মেলনে তার মাদক সংশ্লিষ্টতার কথা অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, শিক্ষক ক্লাবের ভেতর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীকে বিনা অপরাধে আটক করে ক্লাবে ইয়াবা বিক্রি করছিল বলে মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসানো সত্যি হাস্যকর ও অবিশ্বাস্য।
রাকিব শিক্ষকদের সাথে দেখা করতে ক্লাবে গিয়েছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, সাড়ে তিন’শ পিস ইয়াবা নিয়ে শত শত পুলিশের উপস্থিতিতে, সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তাদের সামনে কোন সাবেক ছাত্রনেতা বা কথিত ইয়াবা ব্যাবসায়ী শিক্ষকদের সাথে দেখা করতে যাওয়ার কথা নয়।