নিজেদের মাঠে লিভারপুলকে ৪-১ গোলে হারিয়ে প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা জয়ের দৌড়ে শীর্ষে থাকা আর্সেনালের সঙ্গে পয়েন্ট ব্যবধান একটু কমিয়ে আনল ম্যানচেস্টার সিটি।
আজ প্রথমার্ধে খেলার নিয়ন্ত্রণ বেশি ছিল ম্যান সিটির কাছেই। মাঝমাঠ থেকে রদ্রি বল বণ্টনের কাজটা করেছেন। তাঁকে সেটা না করতে দেওয়ার দায়িত্বটা লিভারপুল কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ দিয়েছিলেন কোডি গাকপোকে।
দুই লিভারপুল মিডফিল্ডার হেন্ডারসন ও ফাবিনিও খেলেছেন বেশ নিচে নেমে। ফলে দেখা যায়নি লিভারপুলের চেনা ‘হাইলাইন ডিফেন্স’।
এর মধ্যেই লিভারপুলের গোলটা হলো ম্যান সিটি ডিফেন্ডারদের দৃষ্টিকটু এক ভুলে। ১৭ মিনিটে ডান পাশ থেকে ট্রেন্ট আলেকজান্ডার-আরনল্ড লম্বা পাস বাড়িয়েছিলেন দিয়োগো জোতার দিকে। কিন্তু জোতা বল নিয়ে এগোতে গিয়ে সিটি ডিফেন্ডার ম্যানুয়েল আকাঞ্জির বাঁধায় আটকে যান।
বুদ্ধিমান জোতা বল পেছনে রেখে নিজেও আকাঞ্জিকে আটকে রাখেন সামনে। সিটি ডিফেন্ডারদের কেউ সেই বল ধরার আগেই দৌড়ে এসে দারুণ গতির শট নেন মো সালাহ, লিভারপুল এগিয়ে যায় ১-০ গোলে।
১০ মিনিট পর সিটির সমতা ফেরানো গোলটা দলীয় প্রচেষ্টার ফল। ডান পাশ দিয়ে ঢুকে রিয়াদ মাহরেজ পাস বাড়ান লিভারপুলের ডি-বক্সের ঠিক বাইরে থাকা ইলকায় গুন্দোয়ানকে।
গুন্দোয়ানের সেই বল পাঠিয়ে দেন বাঁয়ে জ্যাক গ্রিলিশের কাছে। গ্রিলিশের বাড়ানো পাসে আবার দৌড়ে গিয়ে শট নেন আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার হুলিয়ান আলভারেজ। উচ্ছ্বাসে মেতে উঠে ইতিহাদ স্টেডিয়াম। ১-১ সমতা নিয়ে বিরতিতে যায় দুই দল।
বিরতির পর মাঠে নামার দুই মিনিটের মধ্যে এগিয়ে যায় সিটি। ডান পাশ থেকে রিয়াদ মাহরেজের ক্রস এসে পড়ে কেভিন ডি ব্রুইনার পায়ে। বল জালে পাঠাতে ভুল হয়নি বেলজিয়ান প্লেমেকারের। এর সাত মিনিট পরেই গুন্দোয়ানের শটে ৩-১ গোলে এগিয়ে যায় সিটি।
লিভারপুলের ডি-বক্সে জটলায় আলভারেজের শট আলেকজান্ডার-আরনল্ড ফিরিয়ে দিলেও গুন্দোয়ানের ফিরতি শট ঠেকাতে পারেননি আলিসন। ম্যাচের ফল আসলে সেখানেই নির্ধারিত হয়ে যায়।
এরপরও অবশ্য আক্রমণের ধার কমায়নি ম্যান সিটি। তারই ধারাবাহিকতায় স্কোরশিটে নাম লেখান গ্রিলিশ। এর আগে একটি গোল করানো গ্রিলিশ নিজে গোল করেন ৭৪ মিনিটে।
চোটের কারণে এই ম্যাচে খেলেননি আর্লিং হলান্ড। তাঁর অভাবটা যেন বুঝতেই দিলেন না গ্রিলিশ। একটি করে এবং আরেকটি গোল করিয়ে ম্যাচে ম্যান সিটির সেরা খেলোয়াড় ছিলেন তিনিই।
এই জয়ে দ্বিতীয় স্থানে থাকা সিটির পয়েন্ট হলো ২৮ ম্যাচে ৬৪। সমান ম্যাচে ৬৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে আর্সেনাল।
তৃতীয় স্থানে থাকা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের পয়েন্ট ২৬ ম্যাচে ৫০ আর ২৮ ম্যাচে ৪৯ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে আছে টটেনহাম। ২৭ ম্যাচ খেলে ষষ্ঠ স্থানে থাকা লিভারপুলের পয়েন্ট ৪২।
জেএন/পিআর