সরকার ঘোষিত হজ প্যাকেজের জন্য নির্ধারিত খরচকে উচ্চমূল্য অভিহিত করে বিষয়টিকে কেন জনস্বার্থবিরোধী ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট।
এক রিটের শুনানিতে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করে।
একই সঙ্গে সব আন্তর্জাতিক বিমান সংস্থাকে হজযাত্রী পরিবহনে অন্তর্ভুক্ত করার কেন নির্দেশ দেয়া হবে না রুলে তা-ও জানতে চাওয়া হয়েছে।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে ধর্ম সচিব, বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক, হজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব), সৌদি রাষ্ট্রদূতসহ পাঁচজনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী গাজী মো. মহসীন, আশরাফ-উজ জামান খান, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ও আহসান উল্লাহ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
আদেশের পরে আশরাফ-উজ জামান খান বলেন, হজ নিয়ে আমাদের আবেদনের শুনানি নিয়ে আদালত রুল জারি করেছে।
শুনানিকালে আদালত বলেছে, ‘সরকার হাজিদের পক্ষে বিমানের সঙ্গে কোনো দর কষাকষি করেনি। তারা দায়িত্বে অবহেলা করেছেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যায় বাংলাদেশিদের জন্য হজের খরচ অনেক বেশি।’
৬ লাখ ৮৩ হাজার ১৮ টাকা নির্ধারণ করে হজের প্যাকেজ ঘোষণা চ্যালেঞ্জ করে গত ১২ মার্চ রিট করেন হাইকোর্টের আইনজীবী আশরাফ-উজ জামান। ওই রিটের শুনানি নিয়ে আদালত রোববার রুল জারি করে।
এর আগে গত ৬ মার্চ হজের প্যাকেজ মূল্য সংশোধন করে ৪ লাখ টাকা নির্ধারণ করতে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও আল কোরআন স্টাডি সেন্টারের প্রধান সমন্বয়ক আইনজীবী আশরাফ-উজ জামান ধর্ম মন্ত্রণালয়কে নোটিশ পাঠিয়েছিলেন।
সরকারি ব্যবস্থাপনায় চলতি মৌসুমে হজের খরচ ৬ লাখ ৮৩ হাজার ১৮ টাকা নির্ধারণ করেছে সরকার। পরে এ প্যাকেজ সংশোধন করে ১১ হাজার টাকা কমিয়ে দেয়া হয়।
জেএন/এমআর