মালয়েশিয়ার জোহোর রাজ্যের স্থানীয় একটি বাজার থেকে বিষাক্ত পাফার ফিশ। রান্না করেন মা। এরপর সেই মাছ খেয়ে তাঁর মায়ের মৃত্যু হয়। বাবা কোমায়। ভর্তি আছেন হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউতে)।
কথাগুলো গণমাধ্যমকে বলছিলেন হতাহতদের মেয়ে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর বরাত দিয়ে নিউইয়র্ক পোস্ট জানিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৫ মার্চ।
তাঁদের মেয়ে বলেছেন, এক মাছ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে বহু বছর ধরে মাছ কেনেন আমার মা–বাবা। এ জন্য মাছটি কেনার আগে আমার বাবা এ নিয়ে দ্বিতীয়বার ভাবেননি।
আমার জানামতে, বাবা জেনেবুঝে কখনোই এমন একটি মাছ কিনবেন না, যেটা প্রাণঘাতী এবং যে মাছ খেয়ে তাঁদের নিজেদের জীবন হুমকির মুখে পড়তে পারে।
জোহোর রাজ্যে হেলথ অ্যান্ড ইউনিটি কমিটির চেয়ারম্যান লিং তিয়ান সুন বলেন, বাজার থেকে আনা ওই মাছ রান্না করে দুপুরের খাবার খান এই দম্পতি।
এর কিছুক্ষণ পরই লিম সিউ গুয়ান নামের অশীতিপর ওই নারীর শরীরে কাঁপুনি দিতে শুরু করে ও শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। ঘণ্টাখানেক পর তাঁর স্বামীরও একই অবস্থা শুরু হয়।
খাওয়ার পর বাড়িতে মা–বাবার এমন শারীরিক অবস্থা দেখে তাঁদের ছেলে দ্রুত দুজনকে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই দিন সন্ধ্যায় তাঁর মা মারা যান।
লিং তিয়ান সুন বলেন, মৃত্যুর কারণ হিসেবে খাবারে বিষক্রিয়ার কথা বলা হয়েছে। চিকিৎসকেরা বলেছেন, বিষাক্ত খাবার খাওয়ার ফলে তাঁর মস্তিষ্ক ঠিকমতো কাজ করতে পারছিল না। একই সঙ্গে এতে করে শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। এটা সম্ভবত হয়েছে পাফার ফিশটির সিগুয়েটেরা টক্সিন বা টেট্রোডোটক্সিন ইনজেশনের ফলে।
রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য দপ্তরের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, এ ঘটনা নিয়ে নতুন করে আর কিছু জানা যায়নি। একই সঙ্গে ওই দিন বিক্রি হওয়া সব মাছ পরীক্ষা–নিরীক্ষা করার জন্য জেলা স্বাস্থ্য অফিস নিয়ে গেছে।
খাবার বাছাইয়ে, বিশেষ করে ঝুঁকি রয়েছে, এমন খাবারের ক্ষেত্রে সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
জেএন/পিআর