চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর দিয়ে বিভিন্ন ফল ও সবজির পর এবার মালয়েশিয়ায় রপ্তানি হচ্ছে কাঁচা কলা। এর আগে পাকা কলা রপ্তানি হলেও এই প্রথম কাঁচা কলা রপ্তানির খবর পাওয়া গেছে এ বন্দরে।
সম্প্রতি বগুড়ার শিবগঞ্জ থেকে সংগ্রহ করা সাড়ে পাঁচ মেট্রিক টন কলা চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর দিয়ে মালয়েশিয়ায় রপ্তানি করেছে চট্টগ্রাম ভিত্তিক সবজি ও দেশীয় ফল রপ্তানিকারক সাত্তার ইন্টারন্যাশনাল।
সমুদ্রবন্দর দিয়ে প্রথম কাঁচা কলা রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান সাত্তার ইন্টারন্যাশনালের প্রতিনিধি তৌহিদুল ইসলাম জানান, রপ্তানিমূল্য প্রায় পাঁচ হাজার ডলারের কলা ভর্তি চালানটি রিফার কন্টেইনার (শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত) বহনকারী জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দর থেকে মালয়েশিয়ার পোর্ট কেলাংয়ের উদ্দেশে যাত্রা করে।
এক্সপোর্ট বিল নগদায়নে প্রতি ডলারের মূল্য ১০৫ টাকা। সেই হিসেবে রপ্তানি হওয়া কাঁচা কলার প্রতি কেজির মূল্য ১৫১ টাকার বেশি।
রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের তথ্য মতে, রপ্তানি হওয়া কলাগুলোকে স্থানীয় ভাষায় ‘আনাজি’ কলা বলে। এগুলো সবজি হিসেবে রান্না করা হয়।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ থেকে সর্বশেষ পাকা কলা রপ্তানি হয়েছে ২০১৬–১৭ অর্থবছরে। রপ্তানি মূল্য ছিল ৬ হাজার ২৮০ ডলার।
এর আগে ২০১২ সালে পোল্যান্ডে প্রায় ২০ হাজার কেজি পাকা সাগর কলা রপ্তানি হয়েছিল। সব মিলিয়ে ২০১২–১৩ অর্থবছরে ১৪ হাজার ৯১৪ ডলারের কলা রপ্তানি হয়।
বিশ্ববাজারে কলার কদর কম নয়। বাজার গবেষণাকারী সংস্থাগুলোর হিসাবে, ২০২১ সালে বিশ্বে ১ হাজার ৩৫০ কোটি ডলারের কলা রপ্তানি হয়। বিশ্ব চাহিদার সাথে সাথে বাংলাদেশেও কলার উৎপাদন বেড়েছে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাবে, ২০২১–২২ অর্থবছরে ৮ লাখ ২৬ হাজার টন পাকা কলা উৎপাদিত হয়। পাঁচ বছর আগে ২০১৬–১৭ অর্থবছরে উৎপাদন ছিল আট লাখ সাত হাজার টন।
সাত্তার ইন্টারন্যাশনালের রপ্তানির তালিকায় কলা ছাড়াও আছে হরেক রকম সবজিও। এর আগে গত ১৪ মার্চ চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর দিয়ে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কন্টেইনারে চট্টগ্রামের সাত্তার ইন্টারন্যাশনাল প্রথমবারের মতো মালয়েশিয়ায় ১৩.৩২ মেট্রিক টন তরমুজ রপ্তানি করে। এর রপ্তানি মূল্য প্রায় চার হাজার মার্কিন ডলার।
চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে পণ্য মালয়েশিয়ায় পৌঁছাতে অন্তত চারদিন সময় লাগে বলে জানিয়েছেন রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানটি।
জেএন/পিআর