চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের এডিসি (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. আবদুল মালেক বলেন, সমাজের সুবিধাবঞ্চিত নিষ্পাপ শিশুদের মানবেতর জীবন-যাপন আমরা কখনো কামনা করি না। তারা আমাদের সমাজের অবিচ্ছেদ্য অংশ ও আগামী দিনের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ।
তারাই এ দেশকে ভালোবেসে একদিন যোগ্য নাগরিক হয়ে স্মাট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ভূমিকা রাখবে। এজন্য সুবিধাবঞ্চিত শিশুদেরকে দেশের বাসযোগ্য করে গড়ে তুলতে প্রত্যেককে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করতে হবে।
পড়ালেখার পাশাপাশি তাদেরকে আনন্দ-বিনোদনে উৎসাহিত করতে হবে। তিনি জেলা প্রশাসকের সাথে আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে শিশু একাডেমি ও শিশু বিকাশ কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ডিভাইস ‘ট্যাবলেট’ প্রদানের বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখবেন বলে আশ্বাস প্রদান করেন।
আজ ৫ এপ্রিল বুধবার বিকেল ৫টায় নগরীর মোহাম্মদ নগর হিলভিউ আবাসিকে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি চট্টগ্রাম পরিচালিত শিশু বিকাশ কেন্দ্রের একশজন নিবাসীর মাঝে ঈদের পোষাক ও প্রসাধনী সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
চট্টগ্রাম শিশু একাডেমির জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা মো. মোছলেহ উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও প্রশিক্ষক তানভীরুল ইসলাম নাহিদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত ঈদ বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম জেলা সংসদের কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) একেএম সরোয়ার কামাল, জাতীয় সংবাদ সংস্থা-এনএনবি’র চট্টগ্রাম বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান সাংবাদিক রনজিত কুমার শীল ও ঠিকাদার মো. আলমগীর।
শিশু একাডেমি ও শিশু বিকাশ কেন্দ্র আয়োজিত অনুষ্ঠানে একাডেমির লাইব্রেরিয়ান কুমকুম বড়ুয়া, ডাটা এন্ট্রি অপারেটর আবদুল খালেক, শিশু বিকাশ কেন্দ্রের শিক্ষক-শিক্ষার্থীগণ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
শেষে দোয়া ও ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়। মাহফিলে মুনাজাত পরিচালনা করেন হাফেজ মো. নুরুল আসলাম।
জেএন/পিআর