মাদক সেবনে বাধা দেওয়ায় নারীসহ অন্তত ১৫ জনকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (০৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় দিকে মাদারীপুর পৌর শহরের থানতলী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন।
মাদারীপুর সদর হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ বজলুর রহমান বলেন, সন্ধ্যার দিকে থেকে ১০ জন রোগী তাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম নিয়ে ভর্তি হয়েছে। তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
আহতরা হলেন, মোশাররফ হোসেনের ছেলে শাহাজ উদদীন (২৭), রফিক হাওলাদারের ছেলে জাবেদ হাওলাদার (২২), আলমগীর হাওলাদের ছেলে মাহবুব (৩৫), কাজী শিপনের ছেলে সিফাত (৩০), আকতার খানের ছেলে রিয়াদ খান (২৮), জাহাঙ্গীর খানের ছেলে রনি খান (২৩), রহিম হোসেনের ছেলে বকুল (৫০) হাবিবুর রহমানের স্ত্রী সালেহা (৫০), ফিরোজ বেপারীর মেয়ে নাদিয়া (১৮), আখতার খানের স্ত্রী রেবা খানসহ (৫০)।
ভুক্তভোগী ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, থানতলী এলাকার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের একটি বাড়ির পাশে বসে মাদক খাচ্ছিলো কিছু বখাটে ছেলেরা। পরে সালেহা বেগম নামের এক মহিলা তাদেরকে রোজার দিনে মাদক সেবন করতে নিষেধ করেন।
এতে বখাটেরা ক্ষুব্ধ হয়ে তাঁকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। সেখান থেকে চলে গিয়ে বেশ কিছুক্ষণ পরে দেশিয় অস্ত্র এবং লাঠি নিয়ে ২০-৩০ জন যুবক অতর্কিত তাঁদের ওপর হামলা চালায়।
হামলাকারীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে অনেকের শরীরে গুরুতর জখম করে। এতে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। তবে হামলাকারীদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
আহতরা জানান, মাদক সেবনে বাধা দেওয়ার কারণে সন্ত্রাসীরা আমাদের উপর হামলা চালিয়েছে। আমরা এদের বিচার চাই।
মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.মনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং হাসপাতালে গিয়ে আহত ওই ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে এসেছে।
অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার করা হবে।
জেএন/পিআর