অপহরণ নয়, চট্টগ্রাম থেকে নিখোঁজ সাংবাদিক দেবাশীষ বড়ুয়া দেবুর স্ত্রী মনিকা বড়ুয়া রাধা (৪৫) নিজের ইচ্ছায় চলে গিয়েছিলেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার সাথে পরিচয় হয় ভারতীয় নাগরিক কমলেশ কুমার মল্লিকের সঙ্গে। পরে চুটিয়ে প্রেম করেন তারা। কিছুদিন পর ধর্মীয়ভাবে মন্দিরে গিয়ে বিয়েও করেন। তবে রেজিস্ট্রি হয়নি। কিন্তু যেহেতু অপহরণ মামলা হয়েছে, সেহেতু মনিকা এখনো পুলিশের কাছে ভিকটিম। একইসঙ্গে আসামিও।
বৃহস্পতিবার (৮ নভেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান চট্টগ্রাম নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) আমেনা বেগম।
তিনি বলেন, চলতি বছরের (১২ এপ্রিল) কমলেশ নিজে এসে চট্টগ্রাম থেকে মনিকা বড়ুয়াকে শ্যামলি পরিবহনযোগে যশোর বেনাপোল সীমান্তে নিয়ে যান। সেখানে কমলেশ মনিকাকে পাসপোর্ট ও ভিসা ছাড়াই ভারতে নিয়ে যান। মনিকাকে কলকাতায় তার নিজস্ব ফ্ল্যাট সিদ্ধেশ্বরীতে রাখেন। ভারতে মনিকার নামে পরিচয় পত্রসহ অন্যান্য কার্ড তৈরি করে নেন। সেখানে মনিকার নতুন নাম রাখা হয় অনামিকা মল্লিক। কমলেশ-মল্লিকা সেখানে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে থাকতেন।
আমেনা বেগম আরো জানান, মনিকার বড় মেয়ের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল। এমনকি বাড়ি ছাড়ার কথা মেয়ে জানতেন। ভারত থেকে বোনদের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখতেন তিনি। কিন্তু পুরো তদন্তে মনিকার মেয়ে বা বোনেরা কেউ পুলিশকে কোনো সহযোগিতা করেননি।
আমেনা বেগম জানান, তদন্তের সূত্র ধরে কমলেশের খোঁজ পাওয়া যায় । তিনি ব্যবসার কাজে গত ৩ নভেম্বর বাংলাদেশে আসেন । ৪ নভেম্বর ঢাকার ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য দেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে নগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) মিজানুর রহমান, অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (উত্তর) মো. কামরুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ১২ এপ্রিল সাংবাদিক দেবাশীষ বড়ুয়া দেবুর স্ত্রী মনিকা লালখান বাজারের হাই লেভেল রোডের বাসা থেকে বের হওয়ার পর আর ঘরে ফেরেননি। এ ঘটনায় দেবাশীষ নগরের খুলশী থানায় সাধারণ ডায়রি করেন। ২৮ এপ্রিল তাকে অপহরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ এনে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা দায়ের করেন দেবাশীষ। পেশায় গানের শিক্ষক মনিকা বড়ুয়া রাধা পাঁচলাইশ থানার কাতালগঞ্জ এলাকার লিটল জুয়েলস স্কুলে শিক্ষকতা করতেন।
জয়নিউজ/কাউছার/আরসি