আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ হলে আওয়ামী লীগই জিতবে বলে দাবি করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। সোমবার (১০ এপ্রিল) রাতে ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেনের সঙ্গে বৈঠকের পর এ নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন এ কথা জানান।
মোমেন বলেন, ‘আমরা প্রায় দেড় কোটি লোককে সস্তায় খাবার দিচ্ছি। প্রায় ৫০ লাখ লোককে বিনা পয়সায় খাবার দিচ্ছি।
বিধবা, বেকার তারা এর সুফল পাচ্ছে। তারা খুশি। ’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের সরকারের কারণে সব শ্রেণি পেশার মানুষ খুশি। গরিবরা খুশি। সরকার তাদের সাহায্য করছে। ছাত্রছাত্রীরা খুশি। কারণ হরতাল ধর্মঘট নেই। ব্যবসায়ীরা খুশি। হরতাল ধর্মঘট না থাকায় তারা ব্যবসা ধুমিয়ে করে যাচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, শিক্ষক, অভিভাবকরা খুশি। কারণ ছেলেমেয়েগুলো ঠিক মতো স্কুলে যায়। সাধারণ জনগণ খুশি। এ জন্য আমরা আশা করি, আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ হলে আমরা অবশ্যই আবার জিতে আসব।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার বক্তব্যে দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান সুসম্পর্কের কথা উল্লেখ করেন। তিনি এ সময় দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ফেরত দেওয়ার প্রসঙ্গ টানেন।
এছাড়া বৈঠকে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, জঙ্গিবাদ দমন, সন্ত্রাস দমন, সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান।
বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড মোমেন। যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সার্বিক দিক নিয়ে আলোচনা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের আমন্ত্রণে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বর্তমানে ওয়াশিংটন ডিসি সফর করছেন।
বৈঠক শুরুর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সুসম্পর্ক রয়েছে। গত ৫০ বছরে বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ বেড়েছে। আগামী ৫০ বছরে সম্পর্ক আরও এগিয়ে নেওয়া হবে। যদিও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকায় জাতীয় সংসদে যুক্তরাষ্ট্রের কড়া সমালোচনা করেছেন।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বাংলাদেশকে দেওয়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ব্লিঙ্কেনের চিঠির জন্য ধন্যবাদ জানান ড. মোমেন।
জেএন/এমআর