রিঙ্কু সিংয়ের শেষ ওভারে পাঁচ ছক্কায় ২০৫ রানের বড় লক্ষ্য তাড়া করে অবিশ্বাস্য এক জয় পায় কলকাতা নাইট রাইডার্স।
তার ঠিক একদিন পরেই বিরাট কোহলির রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর বিপক্ষে দমবন্ধ করা আরেকটি হাইভোল্টেজ ম্যাচ উপভোগ করলেন আইপিএলপ্রেমীরা।
এবার যেন সেই নাটকীয়তাকেও হার মানিয়েছে লখনৌ সুপার জায়ান্টস আর রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর ম্যাচ। লখনৌর সামনে লক্ষ্য ছিল ২১৩ রানের। নিকোলাস পুরান ১৯ বলে ৬২ রানের দানবীয় এক ইনিংস খেলেন। শেষ বলে এসে ১ উইকেটের রুদ্ধশ্বাস জয় পায় লখনৌ।
টস হেরে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ২ উইকেট হারিয়ে ২১২ রান করে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু। ওপেনিংয়ে দুর্দান্ত শুরু করেন কোহলি ও ডু প্লেসি। তারা ৬৯ বলে গড়েন ৯৬ রানের জুটি। দুজনই পান ফিফটির দেখা।
৪৪ বলে ৪ ছক্কা ও ৪ চারে ৬১ রান করে আউট হন ভারতের সাবেক অধিনায়ক কোহলি। আর ডু প্লেসি করেন সর্বোচ্চ ৭৯ রান। তিনি ৫ ছক্কা ও সমান চারে এ রান সংগ্রহ করেন। তিনে নামা ম্যাক্সওয়েল ২৪ বলে ফিফটি হাঁকান। তিনি মাত্র ২৯ বলে ছয় ছক্কা ও তিন চারে করে ৫৯ রান।
বিগ স্কোর তাড়া করতে নেমে ২৩ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে লখনৌ। কাইল মায়ার্স ০, দিপক হুডা ৯ ও ক্রুনাল পান্ডিয়া ০ রানে বিদায় নেন। এরপর স্টইনিস এসে ঝোড়ো ব্যাটিং শুরু করেন। ২৫ বলে ফিফটি পূর্ণ করেন স্টয়নিস। রাহুল অবশ্য বিদায় নেন ১৮ রান করেই। তবে স্টইনিস করেন ৩০ বলে ৫ ছক্কা ও ৬ চারে ৬৫ রান।
ব্যাটিংয়ে নেমেই রীতিমতো তাণ্ডব চালান ক্যারিবীয় ব্যাটার নিকোলাস পুরান। তিনি ১৫ বলে তুলে নেন অর্ধশতক। কিন্তু জয় নিশ্চিত করার আগেই ১৯ বলে ৭ ছক্কা ও ৪ চারে ৬২ রান করে বিদায় তিনি। আয়ুস বাধোনিও চেষ্টা চালান জয় নিশ্চিত করতে। তবে ২৪ বলে ৩০ রান করে আউট হন তিনি।
শেষ ওভারে লখনৌর দরকার ছিল মাত্র ৫ রান। এই ৫ রান তুলতে গিয়ে ২ উইকেট হারায় লখনৌ। শেষ বলে তাদের প্রয়োজন ছিল এক রান। হার্শাল প্যাটেলের বলে ব্যাট লাগাতে না পারলেও দৌড় দেন আবেশ খান। ফলে জয় নিশ্চিত হয় দলটির।
শেষপর্যন্ত ১ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে লখনৌ। পুরো ম্যাচে দুই দলের রান হয়েছে মোট ৪২৫।
জেএন/পিআর