জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জে মুদি দোকানি ফেরদৌস হাসান হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী মো. আনোয়ার হোসেন (৪৮)কে খুনের এক মাস পর গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
গতকাল মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টার সময় চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড থানাধীন মাদাম বিবির হাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে চাঞাচল্যকর এ হত্যাকাণ্ডের মূল আসামিকে গ্রেফতার করে র্যাব।
গ্রেফতার আনোয়ার হোসেন জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জ থানার উত্তর গামারিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা মৃত আলম কর্মকারের ছেলে।
আজ বুধবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে গণমাধ্যমে প্রেরিত র্যাবের বার্তায় বলা হয়, নিহত ফেরদৌস দেওয়ানগঞ্জে একটি মুদি দোকানের ব্যবসা করতেন। রাতে সে ওই দোকানেই ঘুমাতেন।
এরমধ্যে মুর্শেদা আক্তার মিষ্টি নামে এক নারী ফেরদৌসকে ফাদে ফেলে বিয়ে করতে বাধ্য করে। কিছুদিন পর ফেরদৌস যখন জানতে পারে মুর্শেদা ও তার পূর্বের স্বামী আনোয়ার হোসেন তার টাকা পয়সা হাতানোর জন্য পরিকল্পিতভাবে এ বিয়ের নাটক করেছেন।
এরপর মুর্শেদাকে তালাক দেন। পরে মুর্শেদা ও আনোয়ার মিলে গেল ১২ মার্চ রাতে ফেরদৌসকে হত্যা করে লাশ মাটিতে পুতে ফেলে।
এদিকে ফেরদৌসের প্রথম স্ত্রী তার স্বামী নিখোঁজ রয়েছেন উল্লেখ করে দেওয়ানগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন। ১৪ মার্চ বিকেলে পার্শ্ববর্তী গ্রামের একটি ভুট্টা ক্ষেতের মাটি কুঁড়ে ফেরদৌস হাসানের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তখন মৃতদেহের ঘাড় মটকানো এবং মাথা ও হাঁটুতে জখমের চিহ্ন দেখা যায়।
পরদিন দেওয়ানগঞ্জ থানায় সাতজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৭/৮ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন ফেরদৌসের প্রথম স্ত্রী।
এ হত্যাকাণ্ডে দেওয়ানগঞ্জ থানা পুলিশ মুর্শেদা আক্তার মিষ্টি এবং সজীব নামে দুজনকে আটক করতে পারলেও হত্যাকান্ডের মূল পরিকল্পনাকারী আনোয়ার হোসেন পলাতক থাকে।
মঙ্গলবার তার অবস্থান সনাক্ত হয়ে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড থানাধীন মাদাম বিবির হাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় র্যাব।
র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) মো. নূরুল আবছার জানান, গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ফেরদৌস হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। তার বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
জেএন/পিআর