বিমানবন্দরের ভেতরে অবস্থান নিয়ে বিদেশফেরতদের টার্গেট করে তাদের গাড়িবহরের পিছু নিতো সংঘবদ্ধ ডাকাত চক্রের কয়েকজন।
পরে সুযোগ বুঝে নির্জনস্থানে প্রবাসীকে বহনকারী গাড়িটির গতিরোধ করা হতো। এরপর সেখানে অবস্থান করা চক্রটির আরো কয়েকজন সদস্যসহ দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে প্রবাসীর লাগেজ,দামি মোবাইল ও টাকা পয়সা লুট করে নেয়।
এ ছাড়া চক্রটি প্রবাসী ব্যক্তিদের পাসপোর্ট ছিনিয়ে নিয়ে পরে ব্ল্যাকমেইল করে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে পাসপোর্ট ফেরত দেয়।
তেমনি একটা চক্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়ে বিশেষ ঝটিকা অভিযানে নামে র্যাব। শনিবার রাত থেকে রবিবার সকাল পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে নগরীর বিভিন্ন স্থান থেকে আন্তঃজেলা বাস ডাকাতি, ছিনতাই, সিএনজি চুরি ও প্রবাসীদের টার্গেট করে সর্বস্ব লুটকারী চক্রের ১১ সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
আজ রবিবার দুপুর গণমাধ্যমে প্রেরিত বার্তায় এসব তথ্য জানিয়ে র্যাবের পক্ষ থেকে বলা হয়, আটককৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে চক্রটির ৩/৪ জন বিমানবন্দরের ভেতরে অবস্থান করে এবং বাকি সদস্যরা বাইরে অপেক্ষারত থাকে।
বিমানবন্দরের ভেতরে থাকা সদস্যগণ বিদেশ থেকে আগত প্রবাসীদের টার্গেট করে। প্রবাসীরা যখন বিমানবন্দর থেকে বের হয়ে গাড়িযোগে যাওয়ার জন্য রওনা দেয় তখন বিমানবন্দরের ভেতরে থাকা সদস্যদের তথ্য অনুযায়ী বাইরে অপেক্ষারত ছিনতাই চক্রের অন্যান্য সদস্যরা পথিমধ্যে প্রবাসীদের দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে লাগেজসহ সর্বস্ব কেড়ে নেয়।
তারা এ ধরনের ছিনতাই ছাড়াও সিএনজি চালকদের সিএনজিসহ টার্গেট করত। সিএনজি ড্রাইভারকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আহত করে সিএনজি ছিনতাই করে চলে যেতো।
পরে সিএনজিগুলো তাদের নির্দিষ্ট গোপন একটি স্থানে নিয়ে নম্বর প্লেট, চেসিস নম্বর ও সিএনজির রং পরিবর্তন করে পাচার করে দিতো।
আসামিদের বিরুদ্ধে নগরী ও বিভিন্ন উপজেলায় চুরি, ডাকাতি, ছিনতাইসহ কয়েকটি মামলা রয়েছে জানিয়ে আটককৃতদের সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হবে বলে তথ্য দিলেন র্যাব।
জেএন/পিআর