কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার হাসানপুর রেল স্টেশনে দুই ট্রেনের সংঘর্ষের ঘটনায় ট্রেনটির চালক জসিম উদ্দিন, সহকারী চালক মো. মহসিন ও গার্ড আবদুল কাদেরকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
সোমবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রেলওয়ে চট্টগ্রাম বিভাগীয় ব্যবস্থাপক আবিদুর রহমান। তিনি জানান, তাদের সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
তদন্ত কমিটির রিপোর্ট আসার পর পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে, এ ঘটনায় দুইটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির একটি কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের ও অপরটি রেলওয়ের।
কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম বলেন, দুর্ঘটনার কারণ বের করতে জেলা প্রশাসন থেকে তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।
কমিটিকে তিন কার্য দিবসের মধ্যে তদন্তের নথি জমা দেয়ার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোশারেফ হোসেন, সদস্য সচিব নাঙ্গলকোট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রায়হান মেহবুব, সদস্য অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) খন্দকার আশফাকুজ্জামান, কুমিল্লা রেলওয়ের স্টেশন মাস্টার মাহবুবুর রহমান ও লাকসাম রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন।
অপরদিকে রেলওয়ের ফেনী অঞ্চলের সাব স্টেশন ইঞ্জিয়ার (সড়ক) রিটন চাকমা জানিয়েছেন, রেলওয়ের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। সেখানে চট্টগ্রাম রেলওয়ের বিভাগীয় পরিবহন কমকর্তা মো. তারেককে প্রধান করা হয়েছে।
চার সদস্যের ওই কমিটিকেও আগামী তিন কার্য দিবসের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।
তিনি বলেন, উদ্ধার কাজ এখনও চলমান আছে। উদ্ধার কাজ শেষ হতে আরও পাঁচ ঘণ্টা বা তার চেয়ে বেশি সময় লাগতে পারে।
উল্লেখ্য, হাসানপুর রেলস্টেশনের চার নম্বর লুপ লাইনে দাঁড়িয়ে ছিল মালবাহী ট্রেন। রবিবার সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে ওই ট্রেনের পেছন দিক থেকে ৭৭ কিলোমিটার বেগে ধাক্কা দেয় ঢাকা অভিমুখী বিরতিহীন সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেন।
এতে দুমড়ে-মুচড়ে যায় ওই ট্রেনের ছয়টি বগি। দুই ট্রেনের মোট সাতটি বগি লাইনচ্যুত হয়। আহত হন ৫০ জন। লোকজনের ভিড় এবং দুর্ঘটনার আশঙ্কায় সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টা চট্টগ্রামের সঙ্গে সারাদেশের ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ থাকে। এতে বিভিন্ন স্টেশনে আটকা পড়ে কয়েকটি ট্রেন। রাত ৯টার পর আরেকটি লাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
জেএন/এমআর