বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ সূচকে বাংলাদেশের উন্নতি

বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ সূচকে (জিটিআই) বাংলাদেশের দুই ধাপ উন্নতি হয়েছে। জিটিআইয়ের সর্বশেষ সংস্করণে বাংলাদেশ ৩ দশমিক ৮২৭ স্কোর পেয়ে ১৬৩টি দেশের মধ্যে ৪৩তম অবস্থানে রয়েছে।

- Advertisement -

বাংলাদেশ বর্তমানে দক্ষিণ এশিয়ায় সন্ত্রাসবাদের প্রভাবের দিক থেকে অগ্রগতি অর্জনকারী দ্বিতীয় দেশ।

- Advertisement -google news follower

গ্লোবাল টেররিজম ইনডেক্স (জিটিআই)-২০২৩ এর প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে। এতে মোট ১৬৩টি দেশের সন্ত্রাসবাদ পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হয়েছে।

অস্ট্রেলিয়ার সিডনিভিত্তিক বৈশ্বিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইনস্টিটিউট ফর ইকোনমিক্স অ্যান্ড পিস (আইইপি) সন্ত্রাস ট্র্যাকার এবং অন্যান্য উৎস থেকে তথ্য ব্যবহার করে এ প্রতিবেদন তৈরি করেছে জিটিআই।

- Advertisement -islamibank

টেররিজম ট্র্যাকার ২০০৭ সালের ১ জানুয়ারি থেকে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাগুলোর রেকর্ড সরবরাহ করেছে।

জিটিআই সূচকে যে দেশের স্কোর যত বেশি, তার অবস্থান তত আগে এবং ওই দেশ তত বেশি সন্ত্রাসবাদে আক্রান্ত। এ স্কোর বিবেচনা করা হয় পাঁচ বছরে সন্ত্রাসের কারণে মৃত্যু, সন্ত্রাসী কার্যক্রম, সন্ত্রাসীদের হাতে জিম্মি এবং আহত হওয়ার ঘটনাগুলো বিবেচনা করে।

জিটিআই প্রতিটি দেশকে ০ থেকে ১০ পর্যন্ত স্কেলে স্কোর করে, যেখানে ০ সন্ত্রাসবাদের কোনো প্রভাব প্রকাশ করে না এবং ১০ সন্ত্রাসবাদের সর্বোচ্চ প্রভাব প্রতিফলিত করে। কম স্কোর একটি দেশের সন্ত্রাসবাদের ক্ষেত্রে কম প্রভাব নির্দেশ করে।

আফগানিস্তান ৮ দশমিক ৮২২ স্কোর পাওয়ায় সন্ত্রাসবাদের সর্বোচ্চ প্রভাবের দেশ হিসেবে তালিকার শীর্ষে রয়েছে।

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে পাকিস্তান ৮ দশমিক ১৬, ভারত ৭ দশমিক ১৭৩ এবং নেপাল ৪ দশমিক ১৩৪ স্কোর পেয়েছে।

দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে সবচেয়ে মন্দ জিটিআই স্কোর অর্জনকারী ১০টি দেশের মধ্যে দু’টি হচ্ছে আফগানিস্তান ও পাকিস্তান। এই অঞ্চলের সাতটি দেশের মধ্যে শুধু ভুটানের জিটিআই স্কোর শূন্য। গত পাঁচ বছরে কোনো সন্ত্রাসী হামলা রেকর্ড করা হয়নি।

যদিও আফগানিস্তান ২০২২ সালে উন্নতি করেছে, তবুও এটি ২০২২ সালে সবচেয়ে সন্ত্রাস-প্রভাবিত দেশ হিসেবে রয়ে গেছে। আফগানিস্তানে সন্ত্রাসবাদের কারণে মৃত্যু ৫৮ ভাগ কমেছে।

এ সংখ্যা এক হাজার ৪৯৯ থেকে ৬৩৩ পর্যন্ত নেমে এসেছে। গত বছর দেশটিতে হামলার ঘটনা ৭৫ ভাগ কমে ২২৫টি হয়েছে। ২০২১ সালের আগস্টে কাবুলের পতনের পর তালেবান আফগানিস্তানের ওপর নিয়ন্ত্রণ পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছে।

২০২২ সালে পাকিস্তান এই অঞ্চলে সন্ত্রাসবাদের দ্বিতীয় সর্বাধিক প্রভাবিত দেশ ছিল। আগের বছরের তুলনায় পাকিস্তানে হামলার সংখ্যা ৪৫ ভাগ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং ২৯৮টি হামলা হয়েছে।

মৃত্যুর সংখ্যায় এই প্রবণতা প্রতিফলিত হয়েছে এবং পাকিস্তানে ২০২২ সালে ৬৪৩টি মৃত্যু রেকর্ড করা হয়েছে। এতে ৩৫১টি মৃত্যু বৃদ্ধি পেয়েছে।

২০২২ সালে পাকিস্তানে দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে বেশি সন্ত্রাসী হামলা ও মৃত্যুর ঘটনা রেকর্ড হয়েছে। ফলে দেশটি এ ক্ষেত্রে আফগানিস্তানকে ছাড়িয়ে গেছে।

জেএন/পিআর

KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM