বাঙালির শেকড় গ্রামে। তাই উৎসবে আয়োজনে নাগরিক বাঙালি নাড়ির টানে ছুটে যায় গ্রামে। বরাবরের মতো আসন্ন ঈদুল ফিতর স্বজন প্রিয়জনদের সঙ্গে উদযাপনে নগর ছাড়তে শুরু করেছে মানুষ।
বুধবার (১৯ এপ্রিল) সকালে নগরের প্রধান প্রবেশমুখ অলংকার, শাহ আমানত সেতুর গোলচত্বর, অক্সিজেন এলাকা ঘুরে দেখা যায় ঘুরমুখো মানুষের ভিড়। এছাড়াও চট্টগ্রাম রেলস্টেশনে গিয়ে দেখা গেল মানুষের ভিড়। ঈদ আনন্দ প্রিয়জনের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য অধীর তারা। দুপুর সাড়ে ১২টায় ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায় মহানগর এক্সপ্রেস।
ঈদ উল ফিতরের সরকারি ছুটি শুরু হয়েছে আজ থেকে। টানা ছয়দিনের ছুটির ফাঁদে দেশ। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ১৯ এপ্রিল (আজ) থেকে আগামী ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত সরকারি ছুটি।
মূলত গতকাল (মঙ্গলবার) অফিস শেষ করে অধিকাংশ নারী পুরুষ যাত্রা শুরু করেছে নাড়ির টানে।
বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আনিসুর জামান জানান, মঙ্গলবার (গতকাল) ছিল ব্যাংকের শেষ কর্মদিবস। বিকেল তিনটার মধ্যে ব্যাংক লেনদেন শেষ হয়ে যায়। ঈদ ছাড়া সন্তানদের স্কুল সব মিলিয়ে পরিবারের সবাই মিলে বাড়ি যাওয়া তেমন একটা হয় না। ঈদের ছুটিতে পরিবারের সদস্যদের সাথে আনন্দ ভাগাভাগি করার মজাই আলাদা।
প্রিয়জনের জন্য কেনাকাটা করেছেন কুমিল্লার আজাদ চৌধুরী। বেসরকারি একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলী আজাদ জানান, অনেক বছর ধরে তিনি বসবাস করছেন নগরের ইপিজেড এলাকায়। ঈদ উল আজহায় তেমন বাড়ি যাওয়া হয় না। তবে প্রতিবছর ঈদ উল ফিতরের সময়টুকু পৈতৃক ভিটায় কাটান। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। আজ সন্ধ্যায় হানিফ পরিবহনে চেপে বসবেন পরিবারের সদস্যদের নিয়ে।
বেসরকারি ব্যাংক কর্মকর্তা মহসিন উল্লাহ। তিনি নোয়াখালীর বাসিন্দা। কর্মস্থলের ছুটি শুরু হতেই নাড়ির টানে ছুটছেন শেকড়ের কাছে। তিনি জানান, গ্রামে গেলেই মনে হয় সবুজ গাছের ছায়ায় গা ছুঁয়ে যাওয়া বাতাসটি যেন অন্য সব এলাকার ছেয়ে আলাদা। জীবিকার তাগিদে চট্টগ্রামে থাকলেও মনটি পড়ে থাকে যে গ্রামের। তাই ছুটি শুরু হবার সাথে সাথেই আর দেরি করিনি।
ট্রাফিক-দক্ষিণ জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) এন.এম নাসিরুদ্দিন জানান, ঘরমুখো মানুষের যাত্রা নিরাপদ করতে আমরা চেষ্টা করছি। শাহ আমানত সেতুর গোল চত্বরে ডাবল লাইনে গাড়ি, মৌসুমী টিকেট কাউন্টার কিংবা একই কোম্পানির একাধিক গাড়ি একসাথে কাউন্টারের সামনে দাঁড়াতে দিচ্ছি না।
জেএন/এমআর