ট্রেনে ঈদযাত্রার শেষ দিন আজ শুক্রবার (২১ এপ্রিল)। তাই ঘরে ফেরার শেষ চেষ্টায় মানুষ। কমলাপুর ও বিমানবন্দর রেলস্টেশনে হাজারো মানুষের ভিড়।
যে যেভাবে পারছেন নাড়ির টানে বাড়ি ফেরার শেষ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। অনেক স্ট্যান্ডিং টিকেট কেটে আবার অনেক বিনা টিকেটে স্টেশনে প্রবেশ করে ট্রেনের কামরায় স্থান না পেয়ে উঠে পড়ছেন ছাদে।
জানা গেছে, শেষ মুহূর্তে গার্মেন্টস ছুটি হওয়ায় বৃহস্পতিবার গভীর রাত থেকে শুক্রবার ভোরের মধ্যে হাজার হাজার মানুষ কমলাপুর, বিমানবন্দর ও গাজীপুর স্টেশনে জড়ো হয়েছেন।
এসময় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কিছুটা বাধা দিতে পারলেও বিমানবন্দর রেলস্টেশনের গেট ও বেড়া ভেঙে শত শত মানুষ প্ল্যাটফর্মে প্রবেশ করে ট্রেনের ছাদে উঠে যাত্রা করতে দেখা গেছে।
বিশেষ করে উত্তরবঙ্গের ট্রেনগুলোতে ট্রেনের ভেতরে দাঁড়ানোর জায়গা না পেয়ে শেষ পর্যন্ত ছাদে উঠে যাচ্ছেন ঘরমুখো মানুষ।
জীবনের ঝুঁকি থাকলেও ঘরে ফেরার টানে মানুষ বেছে নিচ্ছে অনিরাপদ যাত্রা। রাজধানীর কমলাপুর স্টেশন থেকে প্রতিটি ট্রেন যাত্রী বোঝায় করে গন্তব্য রওনা হচ্ছে। কিছু মানুষকে বিনা টিকেটে ট্রেনের ছাদে চড়তে দেখা গেছে।
যদিও কর্তৃপক্ষের মতামত তারা বাধা দেয়ার চেষ্টা করছে, কিন্তু বিরাট এলাকা নজরদারির আওতায় আনা একটু বেগ পেতে হচ্ছে।
কালোবাজারি বন্ধ করতে এবার ট্রেনের আগাম টিকিটের শতভাগ বিক্রি করা হয় অনলাইনে। যাত্রীরা জানান, অনলাইন মাধ্যমে টিকিট কাটায় ভোগান্তিতে পড়তে হয়নি।
এর আগের বছরে ২৪ ঘণ্টার অপেক্ষার পরও টিকিট না পাওয়ার অভিযোগ ছিল, এবার সেটা নেই। যাত্রী ঘরে বসেই অনলাইন মাধ্যমে টিকিট কিনতে পেড়েছেন। কারণ শতভাগ আসনে এবার অনলাইন মাধ্যমে টিকিট বিক্রি করা হয়েছে।
পাশাপাশি যাত্রার দিন প্রতিটি ট্রেনে আসন সংখ্যার ২৫ শতাংশ স্ট্যান্ডিং টিকিট বিক্রির ঘোষণা দেওয়া হয়। শ্রমজীবীদের বেশিরভাগই অনলাইনে টিকিট কাটতে না পারায় স্ট্যান্ডিং টিকিটের জন্য কাউন্টারগুলোতে লাইন ধরছেন। তবে চাহিদার তুলনায় পর্যাপ্ত স্ট্যান্ডিং টিকিট না থাকায় ভোগান্তিতে পড়ছেন রেলযাত্রীরা।
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার মাসুদ সারওয়ার বলেন, ঈদযাত্রার আজ শেষ দিন হওয়ায় স্টেশনে যাত্রীদের চাপ অনেক বেশি। এখন পর্যন্ত আমাদের ট্রেন সময়মতো ছেড়েছে। এতে যাত্রীরাও খুশি।
জেএন/পিআর