ভারতে পুলিশের গাড়িতে বোমা হামলা চালিয়েছে মাওবাদীরা। এতে ১০ পুলিশ সদস্য ও ওই গাড়ির চালক নিহত হয়েছেন।
বুধবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরের দিকে দেশটির মধ্যাঞ্চলীয় রাজ্য ছত্তিশগড়ের বাস্তার জেলার দান্তেওয়াদা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। রাজ্যটি মাওবাদীদের অন্যতম ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত।
ছত্তিশগড়ে মাওপন্থীদের রাষ্ট্রবিরোধী তৎপরতা ঠেকাতে ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড (ডিআরজি) নামে একটি বিশেষ পুলিশ বাহিনী রয়েছে।নিহত পুলিশ সদস্যরা সবাই ওই বাহিনীর সদস্য বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
এনডিটিভি জানায়, বুধবার ভোরের দিকে বাস্তার জেলার দান্তেওয়াদার একটি প্রত্যন্ত এলাকায় মাওপন্থী দমন ‘অপারেশনে’ গিয়েছিল ডিআরজির একটি ইউনিট। সেখান থেকে ফেরার পথে এই বোমা হামলা ঘটে।
বোমা হামলায় নিহতের ঘটনায় শোক জানিয়েছেন ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল। বাঘেল এক টুইটবার্তায় নিহতদের উদ্দেশে গভীর শোক জানিয়ে বলেন, দান্তেওয়েদার আরানপুর এলাকায় মাওবাদীদের গোপন বৈঠকের খবর পেয়ে নকশালবিরোধী অপারেশনে গিয়েছিলেন ডিআরজি জওয়ানরা।
এই ঘটনা হৃদয়বিদারক। নিহতদের আত্মার শান্তি কামনা করছি এবং পরিবারের সদস্যদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।
১৯৬৭ সালে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে নকশালবাড়ি আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ভারতে মাওবাদীদের উত্থান ঘটে। নকশালবাড়ি আন্দোলনের সঙ্গে সরাসরি সংযোগ থাকার কারণে ভারতের মাওপন্থিরা ‘নকশাল’ নামেও পরিচিত।
উত্থানের পর কয়েক বছর গ্রাম ও শহরে প্রায় খোলামেলাভাবে রাজনৈতিক তৎপরতা চালাতেন নকশালরা, কিন্তু রাষ্ট্রের ব্যাপক প্রতিকূল মনোভাব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর অভিযানের জেরে শত শত কর্মীর মৃত্যুর পর গত শতকের আশির দশক থেকে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের অরণ্যে নিজেদের ‘হেড কোয়ার্টার’ গড়ে তোলেন নকশালরা।
বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে মাওপন্থিরা খানিকটা দুর্বল হলেও ছত্তিশগড়, ঝাড়খণ্ড, মধ্যপ্রদেশ ও উত্তরপূর্ব ভারতের কয়েকটি রাজ্যে তাদের সাংগঠনিক তৎপরতা বেশ শক্তিশালী।
জেএন/পিআর