লক্ষ্মীপুরে গুলি করে সাবেক যুবলীগ নেতা আবদুল্লাহ আল নোমান ও ছাত্রলীগ নেতা রাকিব ইমামকে হত্যার ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কাশেম জিহাদিসহ ৩৩ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বুধবার (২৬ এপ্রিল) সাড়ে ১২টার দিকে নিহত নোমানের বড় ভাই স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান বাদী হয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানায় এ মামলা দায়ের করেন।
লক্ষ্মীপুর জেলা পুলিশ সুপার মাহফুজ্জামান আশরাফ মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বাদীর করা এজাহার হত্যা মামলা হিসেবে রুজু করা হয়েছে।
মামলায় ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ১৪ থেকে ১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিদের ধরতে পুলিশী অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানান এসপি।
এর আগে বুধবার (২৬ এপ্রিল) বিকেল ৫টার দিকে সদর উপজেলার বশিকপুর ডি এস ইউ কামিল মাদরাসা প্রাঙ্গণে প্রথম ও দ্বিতীয় নামাজে জানাজা শেষে তাদের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
অশ্রুসিক্ত চোখে শেষ বিদায় জানান সর্বস্তরের মানুষ। জানাজায় প্রায় ৫ হাজার মানুষ অংশ নেন।
মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) রাত পৌনে ১০টার দিকে সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের নাগেরহাট এলাকায় সন্ত্রাসীরা যুবলীগ নেতা নোমান ও ছাত্রলীগ নেতা রাকিবকে গুলি করে হত্যা করে। এ সময় তাদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ও মোবাইল নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা।
গুলির শব্দ শুনে ঘটনাস্থল গিয়ে স্থানীয় লোকজন গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসকরা তাদের পৃথক হাসপাতালে মৃত ঘোষণা করেন।
তাদের মাথায় ও মুখে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছে বলে জানান সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আনোয়ারে হোসেন।
নিহত নোমান সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের বশিকপুর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে। তিনি (নোমান) প্রস্তাবিত জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক।
অপর নিহত রাকিব বশিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা- একই ইউনিয়নের নন্দীগ্রামের রফিক উল্যার ছেলে ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
নিহত নোমানের স্ত্রী ও দুই শিশু সন্তান রয়েছে অপর নিহত রাকিবের স্ত্রী ও ৭ মাসের একটি শিশু সন্তান রয়েছে বলে জানা যায়।
জেএন/পিআর