পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার তেঁতুলিয়া নদীতে ঝড়ের কবলে পড়ে বরযাত্রীসহ ট্রলারডুবির ঘটনার একদিন পর নিখোঁজ বর ও তার মায়ের ভাসমান লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
আজ রবিবার (৩০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বন্যাতলী লঞ্চঘাট এলাকা থেকে ওই দুজনের লাশ উদ্ধার করা হয়।
মৃতরা হলেন- উপজেলার রনগোপালদী ইউনিয়নের আউলিয়াপুর গ্রামের মনির হাওলাদারের ছেলে বর রাব্বি (২৫) ও তার মা সেলিনা বেগম (৪৫)।
এনিয়ে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হল। এ ঘটনায় এখনো নিখোঁজ রয়েছেন দুজন।নিখোঁজরা হলেন- একই এলাকার বরের ফুফাতো বোন খাদিজা (৭) ও মারিয়া (৮)।
পটুয়াখালী ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কমান্ডার রেজাউল বলেন, বন্যাতলী লঞ্চঘাট এলাকা থেকে বর ও তার মায়ের ভাসমান মরদেহ দেখে স্থানীয় জেলেরা ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন।
পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তাদের মরদেহ উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় নিখোঁজ দুজনের মরদেহ উদ্ধারে কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।
এর আগে শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার তেঁতুলিয়া নদীর চরআপতি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। সে সময় লিপি বেগম (২৮) নামে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুপুরে রাব্বির সঙ্গে উত্তর শাহজালাল গ্রামের হুমায়ুন কবিরের মেয়ে সুমাইয়ার বিয়ে হয়। বিকেল ৪টার দিকে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে সেখান থেকে বরযাত্রীবাহী ট্রলার আউলিয়াপুরের উদ্দেশে রওনা দেয়।
পথে তেঁতুলিয়া নদীর চরআপতি এলাকায় পৌঁছালে ঝড়ের কবলে পড়ে ২০ বরযাত্রীসহ ট্রলারটি ডুবে যায়। এ সময় ১৫ জন সাঁতরে তীরে উঠলেও নিখোঁজ হয় বর রাব্বীসহ তার পরিবারের পাঁচজন। পরে জেলেরা লিপি বেগম নামে এক নারীর ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করে।
দশমিনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাফিসা নাজ নীরা বলেন, খবর পেয়ে আমি সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। নিখোঁজদের উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিস ও নৌ-পুলিশ সদস্যরা উদ্ধার অভিযান চালাবে।
এছাড়াও নিহতদের পরিবারকে জন প্রতি ২০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
জেএন/পিআর