দেশে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার আবার ফিরিয়ে আনা সংবিধান অনুযায়ী সম্ভব নয় বলেও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
রাজধানীর ভবনে সেতু কর্তৃপক্ষের পর্ষদ সভা শেষে ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন।
নির্বাচনকালীন সরকারের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘বর্তমানে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দুই মেরুতে রয়েছে। নির্বাচনকালীন সরকারে বিএনপিকে আমন্ত্রণ জানানো হবে কি না, সে পরিবেশও দলটি রাখতে পাচ্ছে না।
এসময় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রসঙ্গ উড়িয়ে দিয়ে তিনি বলেন, যে কোনো সিদ্ধান্ত সংবিধানের ভেতর থেকেই নিতে হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে বিদেশি কোন মহলের থেকে কোন চাপ নেই। বন্ধু দেশ হিসেবে সবাই নিরপেক্ষ নির্বাচন চাচ্ছে।
তিনি বলেন, বিএনপি পক্ষপাতদুষ্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায়, যারা তাদের নির্বাচনে জয়ের গ্যারান্টি দেবে।
বিএনপির নেতারা বলে আসছেন, নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া বিএনপি নির্বাচনে যাবে না।
তবে বিএনপির ওই দাবি মানা যে সম্ভব না তা পরিস্কার করে দিয়েছেন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘এমন সরকার আমরা চাই না। উচ্চ আদালতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল হয়েছে। নতুন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনরুজ্জীবিত করার উদ্যোগ সম্ভব নয়।
পৃথিবীর কোনো দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা নেই। অন্য গণতান্ত্রিক দেশের মতোই সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। সরকার শুধু রুটিন কাজ করবে। নির্বাচন কমিশনের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে।
বিএনপির সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, নিরপেক্ষতা বলতে বিএনপিকে নির্বাচনে জেতার গ্যারান্টি দেয়া।
নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ। নিরপেক্ষতার সর্বোচ্চ চেষ্টা বর্তমান নির্বাচন কমিশনের আছে।
তবে নির্বাচনে আসাটা বিএনপির গণতান্ত্রিক অধিকার বলেও মনে করিয়ে দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
জেএন/পিআর