চট্টগ্রামের পটিয়ায় উপজেলার হাইদগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের রুমে তালা ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে।
আজ রবিবার সকালে প্রধান শিক্ষক প্রতিদিনের ন্যায় স্কুলে গেলে দেখতে পায় তার রুমে তালা ঝুলছে।
স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি দে,র নেতৃতে তালা মারা হয়েছে অভিযোগ প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম শরীফের।
গতকাল স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি হামিদ আলি ও সহকারী প্রধান শিক্ষক শ্যামল দে বিরুদ্ধে জোর পূর্বক পদত্যাগ ও স্কুল থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি এবং নিজের নিরাপত্তা ও স্কুলের নিরাপত্তের স্বার্থে পটিয়া থানায় একটি জিডি করেন প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম।
জিডিতে উল্লেখ করেছেন তার থেকে স্কুলের চেক বই,রেজুলেশন খাতা, নোটিশ খাতা জোরপূর্বক কেড়ে নিয়ে যায় এবং মিথ্যা বানোয়াট তথ্য প্রচার করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অপমান নাজেহাল করার পায়তারা চালাচ্ছে।
প্রধান শিক্ষকের রুমে তালা মারা এবং অর্থ আত্নসাতের বিষয়ে জানতে স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি হামিদ আলির সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি, জানা গেছে তিনি দেশের বাহিরে রয়েছেন।
এই বিষয়ে স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি দে জয় নিউজকে জানান, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ৩০ লাখ টাকা আত্বসাৎ, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নিতির অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি প্রধান শিক্ষককে তিনবার কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন। তিনি দুইবার জবার দিলেও ৩য়বার তিনি জবাব দেন নি। তাই পরিচালনা কমিটি গত ৩রা মে আমাকে দায়িত্ব দিয়ে প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলামকে দায়িত্ব থেকে সাময়িক বরখাস্ত করেছেন।
প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম শরীফ জয় নিউজকে বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অর্থ আত্নসাতের অভিযোগ করেছেন সেখানে ১২ লাখ টাকা কিভাবে খরচ হয়েছে তা জানতে চেয়েছেন পরিচালনা কমিটি, আমি পরিচালনা কমিটি নোটিশের জবাবে টাকা খরচের ভাউচার সহ তাদের প্রেরণ করেছি।
সভাপতি যখন স্কুলে চেক বই নিয়ে যায় তখন শিক্ষদের বেতন,স্কুলের বিদ্যুৎ বিল,স্কুলের মডেল টেস্ট খরচ, অর্ধবার্ষিকী পরিক্ষার খরচ দিতে ৮ লাখ টাকা খরচ করেছি এখানে আত্নসাৎ কোথায় হলো।
এই বিষয়ে পটিয়া মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রমা কান্ত মজুমদার বলেন, পরিচালনা কমিটি যখন প্রধান শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করেছেন তিনি কয়েকদিন স্কুলে না গিয়ে উচ্চ পযার্য়ে আপিল করতে পারতেন, তাহলে আর রুমে তালা মারা বিষয়টি আসতো না।
জেএন/সঞ্জয়/পিআর