প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে আগামী সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান পর্যবেক্ষণ করার জন্য বিভিন্ন পর্যায়ের নির্বাচন পর্যবেক্ষক পাঠানোর জন্য কমনওয়েলথ এর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। কমনওয়েলথ মহাসচিব ব্যারনেস প্যাট্রিসিয়া স্কটল্যান্ড এখানে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার বাসভবনে তার সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন আজ বিকেলে এখানে ক্লারিজেস হোটেলের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক কক্ষে বৈঠক শেষে সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের বিষয়টি উত্থাপন করেছেন এবং আগামী সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করার জন্য কমনওয়েলথ থেকে বিভিন্ন পর্যায়ের নির্বাচন পর্যবেক্ষক পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছেন।
মোমেন আরো জানান, জবাবে কমনওয়েলথ মহাসচিব বলেছেন, তারা শান্তিপূর্ণ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক আগামী সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশকে সাহায্য করতে চান।
ব্যারনেস প্যাট্রিসিয়া স্কটল্যান্ড বলেছেন যে, তারা সংস্থার কিছু সদস্য দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে সহায়তা করেছেন।
তিনি বলেন, সেক্ষেত্রে সব রাজনৈতিক দলের রাজনৈতিক অঙ্গীকার প্রয়োজন যে, তারা নির্বাচনে অংশ নেবে, নির্বাচনের ফলাফল মেনে নেবে এবং নির্বাচনে হেরে বা জিতলে সহিংসতায় যাবে না।
মোমেন বলেন, “তারা বলেছে যে, (অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে) তারা আমাদেরকে সাহায্য করতে চায় এবং আমরা তাদের স্বাগত জানিয়েছি। আমরাও চাই নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হোক।”
কমনওয়েলথ মহাসচিবও অতীতের মতো জেলা পর্যায়ে বাংলাদেশের নির্বাচন কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন।
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৮১ সালে বাংলাদেশে ফিরে দীর্ঘ সংগ্রামের মধ্য দিয়ে তিনি গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়নের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) স্বাধীন ও শক্তিশালী করে দেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী করেছে।
বিএনপি ও জাতীয় পার্টির দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, তার দল জনগণকে নিয়ে গঠিত হয়েছে, কিছু দল সেনানিবাস থেকে এসেছে।
মোমেন বলেন, বৈঠকে নির্বাচন ছাড়াও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, জলবায়ু, মানসিক স্বাস্থ্য এবং ডিজিটাল কানেক্টিভিটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী তার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন যে, বাংলাদেশ আগামী জুন থেকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় নেতৃত্ব দিতে চায়। বাংলাদেশ এখন কমনওয়েলথের ব্যবসার সঙ্গে ব্যবসায় ভিত্তিক ইভেন্টে নেতৃত্ব দিচ্ছে।
তিনি বলেন, কমনওয়েলথ মহাসচিব এসব বিষয়ে একমত হয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতা লেখক এম নজরুল ইসলাম এবং যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিমসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
জেএন/এমআর