আগামী ৯ বা ১০ মে সুদান থেকে বাংলাদেশিদের পরবর্তী ব্যাচ দেশে ফেরার প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ। একইসঙ্গে সুদান থেকে দেশে ফেরত আসাদের পুনর্বাসনের জন্য সরকার থেকে সহায়তা দেওয়ার কথা জানান মন্ত্রী।
সোমবার (৮ মে) ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সুদান ফেরত বাংলাদেশিদের স্বাগত জানানোর পর সাংবাকিদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা জানান মন্ত্রী।
ইমরান আহমদ বলেন, আপনারা আশ্বস্ত হতে পারেন যে অতিসত্তর বাকিদের নিয়ে আসব। ৯ বা ১০ তারিখ আরেকটা ফ্লাইট আসবে। আমরা চেষ্টা করছি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নিয়ে আসব। আজকে আসার কথা ছিল ২৫০ জন কিন্তু শেষ পর্যন্ত এলো ১৩৬ জন। সেজন্য নির্দিষ্ট সংখ্যা বা তারিখ বলাটা কঠিন।
সুদান ফেরত বাংলাদেশিদের অভয় দিয়ে প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী বলেন, চিন্তা করবেন না। আপনারা সবকিছু হারিয়েছেন। দেশকে সবকিছু দিয়েছেন। আপনারা প্রত্যেকে খালি হাতে এসেছেন। কীভাবে আপনাদের সাহায্য করা করা সেটার জন্য আমরা এখানে এসেছি। আইওএম আপনাদের সহায়তা করবে। প্রবাসী কল্যাণ বোর্ড থেকে সবাইকে আর্থিক সহায়তা দেব, যেন এ কয়দিন আপনারা চলতে পারেন। আপনাদের অসুবিধাটা আমরা কিছুটা লাঘব করতে পারব।
ইমরান আহমদ বলেন, সবচেয়ে বড় কথা হলো সবাইকে কিন্তু রেজিস্ট্রেশন করে নিতে হবে। আমরা পরবর্তী সময়ে আপনাদের কী সাহায্য করতে পারি, কীভাবে আপনাদের এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি; আপনাদের নামসহ সবকিছু আমাদের প্রয়োজন আছে। আগামীতে আপনাদের জন্য কী করা হবে তা জানানো হবে।
মন্ত্রী বলেন, সুদান থেকে বাংলাদেশিদের দেশে ফেরত আনতে কল্যাণ বোর্ড থেকে ২ লাখ ডলার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আপনাদের পুনবাসনের জন্য আমাদের প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক আছে। আমরা নীতিমালা ঠিক করে দিলে আপনারা ওখান থেকেও সাহায্য নিতে পারবেন। পরবর্তী সময়ে সুদানে অবস্থা ভালো হলে যেতে পারবেন বা অন্য কোনো দেশে যদি যাওয়ার ব্যবস্থা হয় আমরা সেভাবে ব্যবস্থা করব।
পোর্ট সুদান থেকে বাংলাদেশিদের ফেরাতে সরকার দেরি করল কী না -এমন প্রশ্নের জবাবে ইমরান আহমদ বলেন, আমরা বসে নেই। চার্জ করা খুব সোজা। ওখানে দূতাবাসের যারা আছেন তার বসে নেই।
গণমাধ্যমকে উদ্দেশ্য করে মন্ত্রী বলেন, একটু বোঝার চেষ্টা করেন। সবসময় দোষ খোঁজার চেষ্টা করবেন না।
সুদান থেকে প্রথম দফায় ১৩৬ বাংলাদেশি সকালে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন। ঢাকায় পৌঁছানো প্রত্যেক বাংলাদেশিকে আইওএম থেকে নগদ ২ হাজার এবং কল্যাণ বোর্ড থেকে ৩ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে।
জেএন/এমআর