বোলিংয়ে অনিয়মিত নাজমুল হোসেন শান্তকে এনে যেন বাজি ধরেছিলেন তামিম ইকবাল। আগের ম্যাচের বিধ্বংসী ব্যাটার হ্যারি টেক্টরকে অফ-স্পিনের ভেলকিতে বাউন্ডারিতে ধরাশায়ী করেছেন শান্ত। লিটন দাসের তালুবন্দি হওয়ার আগে টেক্টরের সংগ্রহ ৪৫ রান। এরপর দ্রুত উইকেট হারিয়ে ক্রমাগত হারের দ্বারপ্রান্তে চলে যেতে থাকে আইরিশরা। শেষ দিকে আলো ছড়িয়েছেন সিরিজের প্রথম দুই ওয়ানডের একাদশে জায়গা না পাওয়া মুস্তাফিজুর রহমান। তার ৪ শিকারে টানা দ্বিতীয় সিরিজে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।
যদিও আইরিশ ইনিংসের ৩৭তম ওভারটাই বাংলাদেশকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দিতে পারত। অভিষিক্ত মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীর করা ওই ওভারে আইরিশরা তোলে ২১ রান। অথচ এর আগে স্বাগতিকদের দরকার ছিল ৭৪ বলে ১০১ রান। সেই ধাক্কা সামলে ব্রেক-থ্রু চাওয়া ছিল টাইগারদের। বোলিংয়ে এসে সেটাই নিশ্চিত করেছেন শান্ত। এরপর মুস্তাফিজ ও হাসানের আগুন ঝরানো বোলিং আইরিশদের কফিনে শেষ পেরেক ঠোকার মতো কাজ করেছে।
তখনও নাটকীয়তার কিছুটা বাকি। টাইগারদের কাছ থেকে জয় ছিনিয়ে নেওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন উইকেটে থাকা মার্ক অ্যাডায়ার ও অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইন। তার ওপর বাড়তি পাওনা হিসেবে আসে বাউন্ডারিতে মেহেদী হাসান মিরাজের হাত ফসকানো ক্যাচ।
জেএন/এমআর