গ্যাস সরবরাহ নিরবিচ্ছিন্ন করার দাবিতে চট্টগ্রামে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্টিবিউশন কার্যালয়ের সামনে দুই ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে চট্টগ্রামের সর্বস্তরের জনগণ।
সোমবার (১৫ মে) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত এই অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়। ষোলশহরস্থ কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্টিবিউশন কোম্পানির কার্যালয়ের সামনে এই কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে নিজেদের ভোগান্তির কথা তুলে ধরেন বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।
এসময় বক্তারা বলেন, ‘গ্যাস সরবরাহকারী সংস্থা কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড-কেজিডিসিএল হঠাৎ ঘোষণা দিয়েছে, ছয় থেকে সাত দিন সময় লাগবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে।
তারা পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বলেছে, এলএনজি সরবরাহ বন্ধ থাকায় চট্টগ্রাম অঞ্চলে গ্যাস সরবরাহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে ছয়-সাতদিন সময় লাগতে পারে। গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করার এটা কোন যৌক্তিক কারণ হতে পারে না।
এসময় সাংবাদিক বিপ্লব পার্থ বলেন, ‘চট্টগ্রাম বাংলাদেশের অর্থনীতির হৃদপিন্ড। কিন্তু বন্দরনগরী চট্টগ্রামে জাতীয় গ্রিড থেকে গ্যাসের অংশীদারিত্ব একেবারেই নেই।
ফলে মহেশখালীর ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল বন্ধ থাকার অজুহাতে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। গ্যাস সংকটে নিদারুণ কষ্টে নগরবাসী দিনাতিপাত করছে। গ্যাস না থাকায় কলকারাখান ও শিল্পকারখানায় উৎপাদন ব্যহত হচ্ছে। এছাড়া সিএনজি চালিত গাড়িগুলো রয়েছে সংকটে।
যদি এভাবে কয়েকদিন পর পর প্রাকৃতিক দুযোর্গ হয় বা পাইপে লিকেজ হয় তবে চট্টগ্রামের মানুষ দিনের পর দিন না খেয়ে থাকতে হবে। যা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। তাই এলএনজি নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে এসে চট্টগ্রামকে জাতীয় গ্রিড থেকে গ্যাস সরবরাহ করতে হবে।
চট্টগ্রাম বাঁচলে, বাংলাদেশ বাঁচবে। চট্টগ্রামকে বাঁচাতে সকল দল মতের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
চট্টগ্রামের সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারে সাংবাদিক বিপ্লব পার্থ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন সৌরভ প্রিয় পাল, করদাতা সুরক্ষা পরিষদের সদস্য সাজ্জাদ হোসেন জাফর, রাসেল উদ্দিন, সাজ্জাদ হোসেন, মো. ফোরকান, ছাত্রনেতা জিয়া উদ্দিন আহমেদ, মো. ফিরোজ, মিঠুন বৈষ্ণব, শরিফুল ইসলাম জুয়েল, মো. রুবেল প্রমুখ।
অবস্থান কর্মসূচি থেকে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে স্মাকলিপি দেওয়ার কর্মসূূচি ঘোষণা করা হয়।
জেএন/পিআর