চট্টগ্রাম নগরীর ডবলমুড়িং থানা এলাকায় ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে পুলিশ সদস্যকে ছুরিকাঘাতে নির্মম ও নৃশংসভাবে হত্যার ৯ বছর পর সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
গতকাল সোমবার (১৫ মে) বিকেল সাড়ে ৫ টার সময় নগরীর হালিশহর থানাধীন নয়াবাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার আসামির নাম মো. মনির (৩০)। সে কুমিল্লা জেলার দেবীদ্বার থানা ফইয়াবাড়ীর মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নূরুল আবছার।
তিনি জানান, ২০১৪ সালের ১৩ জানুয়ারি রাতে অক্সিজেন এলাকায় ডিউটি শেষ করে বাসায় ফিরছিলেন কনস্টেবল ফরিদ উদ্দীন।
পথে ছিনতাইকারীরা তাকে পথরোধ করে মালামাল কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করে। এতে বাধা দিলে ছিনতাইকারীর তাকে ছুরিকাঘাত করে আহত করে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় ফরিদকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় এসআই আমিনুল হক বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। মামলার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে সেসময় ৬ আসামিকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারদের মধ্যে অটোরিকশা চালক মনির ছিলেন হত্যাকাণ্ডের অন্যতম সহেযাগী।
ছিনতাইকারীদের অটোরিকশা করে পালিয়ে যেতে মনির সাহায্য করেছিলেন। ওই সময় গ্রেফতারদের মধ্যে মো. নাছির ও মো. রাজিব মামলার তদন্তকালে মারা যান। বাকি চারজনের বিরুদ্ধে পুলিশ ২০১৫ সালের ১৭ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
তিনি আরও বলেন, চলতি বছরের ৭ মে আদালত চার আসামি মো. বাবুদ দুলাল, অর্জুন দে এবং মো. মনিরের ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে পলাতক আসামি জসিম উদ্দিন রাজু, মো. মাবুদ দুলাল ও অর্জুন দেসহ তিনজনকে যাবজ্জীবনের পাশাপাশি ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড প্রদান করেন।
এছাড়া অটোরিক্সা চালক মনিরকে ১০ বছর কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। জরিমানা অনাদায়ে আরও একবছর কারাদণ্ড দেয়।
সোমবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিকেল সাড়ে ৫টায় হালিশর থানাধীন নয়াবাজার এলাকা থেকে আসামি মো. মনিরকে গ্রেফতার করা হয়।
মনির দীর্ঘ ৯ বছর পালিয়ে ছিলেন। গ্রেফতার আসামিকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা।
জেএন/পিআর