রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তার সাংবাদিকতা জীবনের বিভিন্ন স্মৃতিচারণ করে বলেছেন, অনেক গৌরবোজ্জ্বল দিন এই প্রেস ক্লাবে অতিবাহিত করেছি। বিভিন্ন সময়ে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। ৭০ থেকে ৭৫ জনকে চাকরি দিয়েছি, কিন্তু কোনো প্রতিদান নেইনি।
তিনি আরও বলেন, আমি সবসময় ত্যাগের রাজনীতি করেছি, কোনো ভোগের রাজনীতি করিনি।
মঙ্গলবার (১৬ মে) দুপুরে পাবনা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে রাষ্ট্রপতি এসব কথা বলেন।
মো. সাহাবুদ্দিন দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন গত ২৪ এপ্রিল। রাষ্ট্রপতি হিসেবে নিজ জেলা পাবনায় এটাই তার প্রথম সফর। মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতি পাবনা প্রেস ক্লাব চত্বরে পৌঁছলে সাংবাদিক নেতারা ফুল দিয়ে তাকে শুভেচ্ছা জানান। পাবনা প্রেস ক্লাবের আজীবন সদস্য মো. সাহাবুদ্দিন।
সত্তরের দশকে ছাত্র রাজনীতির প্রসঙ্গ টেনে অনেক গুণী সাংবাদিক এবং বিভিন্ন সংগঠনের নেতাদের কথা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন রাষ্ট্রপতি। তিনি বলেন, অনেক মতবাদ দেখেছি কিন্তু মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছি মুজিব আদর্শ বা মুজিববাদের ওপর বিশ্বাস করেই। তখন কোনো মতবাদই কাজে লাগেনি। একমাত্র জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চিন্তাধারা কাজে লেগেছে। তার নেতৃত্বে আমরা মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছি এবং দেশ স্বাধীন করেছি।
এসময় দল-মত নির্বিশেষে সব সাংবাদিকের ঐক্যবদ্ধ সহযোগিতা কামনা করেন রাষ্ট্রপতি। তিনি বলেন, কোনো সমাজ ব্যবস্থা ধার করে চলে না। সমাজ ব্যবস্থা চলবে দেশের মানুষ কী চায় (তার ওপর ভিত্তি করে)। মানুষের ইচ্ছার ওপর দিয়ে সমাজ ব্যবস্থা করে গড়ে তুলতে হবে।
মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন পাবনা প্রেস ক্লাবের সভাপতি এ বি এম ফজলুর রহমান। এতে বক্তব্য রাখেন মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং পাবনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অঞ্জন চৌধুরী পিন্টু, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি অধ্যক্ষ শিবজিত নাগ, সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রবিউল ইসলাম রবি, সাধারণ সম্পাদক সৈকত আফরোজ আসাদ প্রমুখ।
এর আগে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন পাবনার বিসিক শিল্প নগরীতে স্কয়ার লাইফসাইন্স লিমিটেডের ফলক উন্মোচন করেন। রাষ্ট্র প্রধানসহ তার সংশ্লিষ্ট সচিবরা সেখানে এক দোয়া অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন চারদিনের পাবনা সফরের দ্বিতীয় দিনে আজ সকালে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) শিল্পনগরী পরিদর্শন করেন। রাষ্ট্রপতি সেখানে পৌঁছালে তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান স্কয়ার গ্রুপের চেয়ারম্যান স্যামুয়েল এস. চৌধুরী। পরে রাষ্ট্রপতি স্কয়ার লাইফসাইন্সেস লিমিটেডের উৎপাদন এলাকা পরিদর্শন করেন।
জেএন/এমআর