রাষ্ট্রীয় বিপণন সংস্থা টিসিবির মাধ্যমে সাশ্রয়ী মূল্যে বিক্রির জন্য ৬৬ কোটি ২৭ লাখ ৩১ হাজার ২৫০ টাকায় সাড়ে ১২ হাজার টন চিনি কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এতে প্রতি কেজি চিনির দাম পড়বে ৮২ টাকা ৮৫ পয়সা। বুধবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় যুক্তরাষ্ট্রের একটি কোম্পানি থেকে এই চিনি কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়।
সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়াভিত্তিক কোম্পানি এক্সেনচুয়াল টেকনোলজি ইনকরপোরেশন (স্থানীয় এজেন্ট ওএমজি লিমিটেড) থেকে সাড়ে ১২ হাজার টন চিনি কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে খরচ হবে ৬৬ কোটি ২৭ লাখ ৩১ হাজার ২৫০ টাকা। প্রতি কেজি চিনির দাম পড়বে ৮২ টাকা ৮৫ পয়সা।’
যেসব দেশ বাংলাদেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেবে, তাদের কাছ থেকে কেনাকাটা করা হবে না বলে দুদিন আগে এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যুক্তরাষ্ট্র যেহেতু বাংলাদেশের র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছে, সেই দেশের কোম্পানির কাছ থেকে চিনি কেনার সিদ্ধান্তের বিষয়ে অতিরিক্ত সচিবের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন সাংবাদিকরা। জবাবে তিনি বলেন, ‘বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে পৃথকভাবে আলোচনা হয়নি।’
প্রধানমন্ত্রী বলার পরও যুক্তরাষ্ট্র থেকে চিনি কেনার অনুমোদন দেওয়া প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশার লঙ্ঘন হলো কি না? সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে এমন পাল্টা প্রশ্ন করা হলে অতিরিক্ত সচিব বলেন, ‘এ বিষয়ে মন্তব্য করার এখতিয়ার আমি রাখি না।’
এর আগে গত ৯ মে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় সিঙ্গাপুরের স্মার্ট মেট্রিক্স প্রাইভেট লিমিটেড (স্থানীয় এজেন্ট মার্ক লাইন এন্টারপ্রাইজ) থেকে সাড়ে ১২ টন চিনি কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়। সে সময় খরচ ধরা হয় ৬৬ কোটি ৭৯ লাখ ৯০ হাজার টাকা। অর্থাৎ প্রতি কেজি চিনির দাম ধরা হয় ৮২ টাকা ৯৪ পয়সা।
এদিকে দেশে চিনির দাম কেজিতে ১৬ টাকা করে বাড়িয়ে ১২০ টাকা নির্ধারণ করেছে সরকার। তবে বাজারে এখনও প্রতি কেজি চিনি ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বিশ্ববাজারে মূল্যবৃদ্ধির অজুহাতে দেশে চিনির দাম নিয়ন্ত্রণহীন হলেও উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে দেশীয় খুচরা বাজারের চেয়ে কেজিতে অন্তত ৬০ টাকা কমে চিনি কিনেছে সরকার।
জেএন/এমআর