ওয়ান ব্যাংকের চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ শাখা থেকে ২৩৪ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে পরিশোধ করেননি চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড এলাকার পাঁচ ব্যবসায়ী। ঋণখেলাপির মামলায় ওই পাঁচ ব্যবসায়ীকে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।
গতকাল মঙ্গলবার (১৬ মে) বিকেলে অর্থঋণ আদালত চট্টগ্রামের বিচারক মুজাহিদুর রহমান এ আদেশ দেন। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে জন্য ইমিগ্রেশন শাখার বিশেষ পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেন আদালত৷
পাঁচ ঋণ খেলাপি ব্যবসায়ীরা হলেন- সীতাকুণ্ডের শীতলপুর অটো স্টিল মিলস লিমিটেডের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজিম উদ্দিন, পরিচালক মোহাম্মদ হোসেন, জানে আলম ও মাহবুব আলম।
আদেশে বিচারক উল্লেখ করেন, ঋণের বিপরীতে যে সম্পত্তি ব্যাংকে বন্ধক আছে, তা অতি সামান্য। এ অবস্থায় তারা দেশ ছাড়লে বিপুল পরিমাণ খেলাপি ঋণ আদায় অনিশ্চিত হয়ে পড়তে পারে।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী রেজাউল করিম বলেন, `ওয়ান ব্যাংক লিমিটেডের আগ্রাবাদ শাখা থেকে পাঁচ ব্যবসায়ী ঋণ নিয়ে পরিশোধ করেননি। গত ১৩ এপ্রিল খেলাপি ঋণ আদায়ের দাবিতে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আদালতে মামলা করে।
এর আগে গত জানুয়ারিতে অর্থমন্ত্রী ঋণ তথ্য ব্যুরো (সিআইবি) ডেটাবেজ ( ২০২২ সালের নভেম্বর মাসভিত্তিক) অনুসারে যে শীর্ষ ২০ খেলাপি প্রতিষ্ঠানের তালিকার প্রকাশ করেন তার অর্ধেকই চট্টগ্রাম জেলার।
তালিকা বিশ্লেষণে দেখা যায়, আওয়ামী লীগ নেতাদের পাশাপাশি বিএনপির নেতাদের প্রতিষ্ঠানও রয়েছে খেলাপির তালিকায়। শীর্ষ ঋণ খেলাপির মধ্যে ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড লিমিটেডের ঋণ ১ হাজার ৮৫৫ কোটি টাকা, রাইজিং স্টিল লিমিটেডের ঋণ ১ হাজার ১৪২ কোটি টাকা, সাদ মুসা ফেব্রিকসের ঋণের পরিমাণ ১ হাজার ১৭২ কোটি টাকা, সামান্নাজ সুপার অয়েলের ১ হাজার ১৩০ কোটি টাকা, মোহাম্মদ ইলিয়াস ব্রাদার্সের ঋণ ৯৬৫ কোটি টাকা, আরএসআরএম স্টিলের প্রতিষ্ঠান এস এম স্টিল রি-রোলিং মিলের ঋণ ৮৮৮ কোটি টাকা, রেডিয়াম কম্পোজিট টেক্সটাইল মিলসের খেলাপি ঋণ ৭৭০ কোটি টাকা, এহসান স্টিল রি-রোলিং মিলের খেলাপি ঋণ ৬২৪ কোটি টাকা ও সিদ্দিক ট্রেডার্সের ঋণ ৬৭০ কোটি টাকা।
জেএন/পিআর