মিরসরাইয়ে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর এক কিশোরীকে (১৩) ধর্ষণের অভিযোগে একই গোষ্ঠীর শিমুল ত্রিপুরা নামের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার খৈয়াছড়া ইউনিয়নের উজালিয়া পাড়ায় কিশোরী ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে।
শুক্রবার (৯ নভেম্বর) বিকেলে ধর্ষিতা কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে মিরসরাই থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ ওইদিন সন্ধ্যায় মামলার প্রধান আসামিকে স্থানীয় পাহাড়ি এলাকা থেকে গ্রেফতার করে।
থানায় দায়েরকৃত মামলা ও ধর্ষিতা কিশোরীর বাবার সাথে কথা বলে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার উজালিয়া পাড়ার পাশের একটি পাহাড়ে দৈনিক শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে যায় ওই কিশোরী। এসময় বাগান পরিষ্কারের কাজ দেখাশোনা করছিল শিমুল ত্রিপুরা। ওইদিন বেলা ১টার দিকে ওই কিশোরীকে পাশের পাহাড়ে নিয়ে ধর্ষণ করে শিমুল। পরে বাগান পরিষ্কার কাজের ঠিকাদার মান্নান ধর্ষণ করে ওই কিশোরীকে।
পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া ধর্ষক শিমুল ত্রিপুরা স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে ধর্ষণের অভিযোগ স্বীকার করে বলে, ‘আমি ধর্ষণ করে মান্নান নামের এক ব্যক্তির হাতে ওই কিশোরীকে তুলে দিয়েছিলাম।’
মিরসরাই থানার ওসি জাহিদুল কবির বলেন, ‘ঘটনাটি ঘটেছিল গত বৃহস্পতিবার দুপুরে। খৈয়াছড়া উজালিয়া পাড়ার ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরীকে একই পাড়ার শিমুল ত্রিপুরা ধর্ষণ করে। পরে ঠিকাদারী ব্যবসার সঙ্গে জড়িত মান্নান নামের এক লম্পটের কাছে তাকে (কিশোরী) তুলে দেয়। শুক্রবার ধর্ষিতা তরুণীর বাবা থানায় এসে পুলিশকে ঘটনাটি জানানোর পর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়। পরে কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে মামলার প্রধান আসামি শিমুলকে গহীন পাহাড় থেকে আমরা গ্রেফতার করতে সক্ষম হই। অপর আসামি মান্নানকেও দ্রুত গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।