পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খান ও তার স্ত্রী বুশরা বিবিসহ দলটির ৮০ জনেরও বেশি নেতার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ইমরান ও বুশরা ছাড়া এ তালিকায় রয়েছেন- আসাদ উমর, মালেকা বোখারি, কাসিম সুরি, আসাদ কায়সার, মুরাদ সাঈদ, হাম্মাদ আজহার, ইয়াসমিন রশিদ ও আসলাম ইকবাল। খবর ডনের
বৃহস্পতিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের বিশেষ সহকারী আতাউল্লাহ।
তিনি বলেন, নিষেধাজ্ঞা পাওয়া পিটিআই নেতাদের তালিকা দেশ থেকে বাইরে যাওয়ার সব পয়েন্টে ও বিমানবন্দরে পাঠানো হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক নির্দেশে বলা হয়েছে, নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা কেউই পাকিস্তান ছাড়তে পারবে না।
এদিকে শুক্রবার পাকিস্তানের আরেক গণমাধ্যম ট্রিবিউনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার তালিকায় ইমরান খানের নাম রাখায় সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন পিটিআই চেয়ারম্যান।
এক টুইটে ইমরান খান বলেন, বিদেশে যাওয়ার কোনো পরিকল্পনা আমার নেই, কারণ বিদেশে আমার কোনো সম্পত্তি বা ব্যবসা নেই, এমনকি দেশের বাইরে কোনো ব্যাংক অ্যাকাউন্টও নেই।
তিনি আরও বলেন, আমি যদি ছুটি কাটানোর সুযোগ পাই, তাহলে আমাদের উত্তরাঞ্চলের পর্বতমালায় যাব। আমার কাছে এটি পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর জায়গা।
হঠাৎ করেই দলত্যাগ শুরু করেছেন পিটিআইয়ের শীর্ষ নেতারা। এতে কঠিন পরীক্ষায় পড়েছেন ইমরান খান। এরই মধ্যে ইমরানের সরকারে মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা নেতাও সরে গেছেন। কেউ কেউ বলছেন, তারা আর রাজনীতি করবেন না। সেনাবাহিনীর ধরপাকড় ও চাপে পড়ে নেতারা তার পাশ থেকে সরে যাচ্ছেন বলে দাবি করেছেন ইমরান।
তিনি বলেন, এমন দমন-পীড়নের ঘটনা পাকিস্তানের ইতিহাসে আমি আর দেখিনি। যদি বলেন, আপনারা পিটিআইয়ের সদস্য, তাহলে আপনাদের দমন-পীড়ন এবং সহিংসতার কবলে পড়তে হবে। বন্দি করা হবে। আর যদি জাদুকরি শব্দগুলো বলেন যে আমরা আর পিটিআইয়ের সঙ্গে নেই, তাহলে ছাড়া পাবেন।
গত ৯ মে আল কাদির ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করার পর পাকিস্তানজুড়ে সহিংস বিক্ষোভে অন্তত ১০ জন নিহত হন। পরে গত ১২ মে ইসলামাবাদের হাইকোর্ট ইমরান খানকে জামিন দেন। এই জামিনের মেয়াদ বুধবার শেষ হওয়ার কথা ছিল। তবে ওইদিন ইমরান খানের বিরুদ্ধে করা মামলার বিস্তারিত প্রস্তুতির জন্য আরও সময় চেয়ে তার আইনজীবী আবেদন করার পর আদালত জামিনের মেয়াদ ৩১ মে পর্যন্ত বাড়িয়ে দেন। জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর থেকে জামান পার্কের বাড়িতেই অবস্থান করছেন পিটিআইপ্রধান।
জেএন/এমআর