চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার জোরারগঞ্জ থানাধীন হাবিলদার বাসা এলাকাযর একটি বসত ঘরে রহস্য জনক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার (২৬ মে) রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার করেরহাট ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড বরৈয়া গ্রাম হোমিও চিকিৎসক মানিক লাল ডাক্তারের বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় বাড়ির লোকজন স্থানীয়দের সহায়তায় দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। ফলে বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ড থেকে রেহাই পায় হিন্দু বাড়ির প্রায় ২০টি পরিবার।
একই বাড়ির বাসিন্দা হোমিও চিকিৎসক রিপণ নাথ বলেন, আমার দাদু চিত্যরঞ্জন নাথের শয়ন ঘরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে কে বা কাহারা কেরোসিন দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়।
আগুনের লেলিহান শিখা দেখতে পেয়ে বাড়ির ও আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। ওই ঘরের লোকজন শহরে থাকায় ঘরে তালা দেয়া ছিল। যদি গভীর রাতে আগুন লাগতো তাহলে পুরো বাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে যেত।
দাদুর ঘর আমাদের ঘর পাশাপাশি। দাদুর ঘর পুড়ার পর আমাদের ঘরে আগুন লাগতো। কিছুদিন আগেও বাড়ির খড়ের গাদায় আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। তখন বাড়ির ২টি খড়ের গাদা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। পরবর্তীতে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
চিত্যরঞ্জনের বড় মেয়ে সুপ্রীতা জানান, বাবা অসুস্থ হওয়ায় শহরে আমাদের সাথে থাকেন। বাড়িতে তালা দেওয়া থাকে। আমরা খবর পেয়ে সকালে শহরর থেকে এসে ঘর মেরামত করেছি। কে আগুন লাগালো কেন লাগালো আমরা কিছুই বুঝতেছি না।
বাড়ির সকলের বয়োজ্যেষ্ঠ মানিক লাল জানান, সামনে নির্বাচন। সেটাকে কেন্দ্র করেও হতে পারে। হিন্দু বাড়িতে আগুন লাগিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের উদ্দেশ্যেও হতে পারে। অতীতেও এমন ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এনায়েত হোসেন নয়ন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, উদ্দেশ্য মুলক কেউ আগুন লাগানোর চেষ্টা করেছে। আগুন দেয়ার সাথে সাথে বাড়ির লোকজনের নজরে আসায় আগুন নিয়ন্ত্রনে সক্ষম হয়।
থানা পুলিশের সহায়তায় রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা করছি। আমার ধারণা এসব মাদক চোরাকারবারীদের কাজ হতে পারে। তারা অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটিয়ে স্থানীয় লোকজন ও প্রশাসনকে একদিকে ব্যাস্ত রেখে নিরাপদে মাদক চালান করে।
জোরারগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি জাহিদ হাসান জানান, আগুন লাগানোর কথা ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে জানতে পেরে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে একটি টিম পাঠিয়েছেন। বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জেএন/আশরাফ/পিআর