চট্টগ্রামের চন্দনাইশে বিরল প্রজাতির রাজ ধনেশ নামের এক জোড়া পাখিসহ এক পাচারকারীকে আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার রাতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের গাছবাড়িয়া কলেজ গেইট এলাকায় শ্যামলী পরিবহনের একটি বাস থেকে দুইটি বাচ্চা রাজ ধনেশসহ তাকে আটক করা হয়।
রবিবার রাতে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জিমরান মোহাম্মদ সায়েকের তাৎক্ষণিক ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বন্যপ্রাণী আইনে আটক ওই ব্যক্তিকে চার মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত পাচারকারীর নাম মিজানুর রহমান। পাবনা জেলার বেড়া উপজেলা সিংহাসন এলাকার ফজিঅর রহমানের ছেলে। তিনি ওই শ্যামলী পরিবহনের বাসের সুপারভাইজার বলে জানা গেছে।
চন্দনাইশ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, পাখিগুলো আলীকদম থেকে এনে চকরিয়া রুট দিয়ে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক ব্যবহার করে সাতক্ষীরা নেওয়া হচ্ছিলো। পরে সেখান থেকে ভারতে পাচারের পরিকল্পনা ছিল।
গোপন সংবাদ পেয়ে শ্যামলী পরিবহনের একটি বাসে তল্লাশি করে দুটি বিরল প্রজাতির রাজ ধনেশ উদ্ধার করে ওই পাচারকারীকে আটক করা হয়েছে৷ পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাকে ৪ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে মিজানুর রহমান ১২শ টাকায় চকরিয়া থেকে ঢাকা গাজীপুরে নিয়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করেন। সেখান থেকে ভারতে পাচারের জন্য সাতক্ষীরায় নেওয়ার পরিকল্পনার কথাও জানান।
উপজলো সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিমরান মোহাম্মদ সায়েক বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজ ধনেশসহ ওই পাচারকারীকে হাতেনাতে রাজ ধনেশসহ আটক করা হয়।
ভ্রাম্যমাভ আদালতে তিনি অপরাধ স্বীকার করে নেওয়ায় তাকে চারমাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে৷ পাখিগুলো বনবিভাগের কর্মকর্তাদের হাতে হস্তান্তর করা হয়েছে। তারা পাখিগুলো অবমুক্ত করার ব্যবস্থা করবেন।
জেএন/পিআর