দেশে ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে তালাকের হার বেড়েছে। শহরের তুলনায় গ্রাম এলাকায় এই তালাকের হার বেড়েছে। দেশে বর্তমানে তালাকের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১.৪ শতাংশ, যা ২০২১ সালে ছিল ০.৭ শতাংশ।
আজ মঙ্গলবার (১৩ জুন) পরিসংখ্যান ভবনে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো আয়োজিত বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিক্স-২০২২ এর ফলাফলে থেকে এ তথ্য উঠে এসেছে। অনুষ্ঠানে জরিপের ফলাফল তুলে ধরেন প্রকল্প পরিচালক আলমগীর হোসেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. শামসুল আলম। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিবিএস মহাপরিচালক (রু.দা) পরিমল চন্দ্র বসু।
প্রকল্প পরিচালক আলমগীর হোসেন জানান, ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে তালাকের হার বেড়েছে। শহরের তুলনায় গ্রাম এলাকায় এই স্থূল তালাকের হার বেড়েছে। দেশে বর্তমানে তালাকের হার ১.৪ শতাংশ। যা ২০২১ সালে ছিল ০.৭ শতাংশ। এই তালাকের হার পল্লী এলাকায় ০.৮ শতাংশ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১.৪ শতাংশ এবং শহর এলাকায় ০.৫ শতাংশ থেকে বেড়ে তালাকের হার দাঁড়িয়েছে ১ শতাংশ।
অনুষ্ঠানে আলমগীর হোসেন বলেন, জনতাত্ত্বিক তথ্য সংগ্রহ করার তিনটি পরিসংখ্যানিক স্বীকৃত পদ্ধতি হলো- শুমারি, নিবন্ধিকরণ ও নমুনা জরিপ। নিবন্ধিকরণ পদ্ধতি উন্নততর ও সুবিধাজনক পদ্ধতি হিসেবে বিবেচিত। বাংলাদেশে ১৯৮০ সাল হতে দুটি জনশুমারির মধ্যবর্তী সময়ে নমুনাভিত্তিক নিবন্ধিকরণের মাধ্যমে জনতাত্ত্বিক উপাত্তসমূহের প্রাক্কলন করা হয়ে থাকে। শুরুতে নমুনা এলাকা ছিল মাত্র ১০৩টি। জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও জরিপের গুণগত পরিধি বৃত্তির সঙ্গে সঙ্গে বর্তমানে নমুনা এলাকার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০১২টি। নমুনা থানার সংখ্যা তিন পাখের ওপরে। সারাদেশে প্রত্যেকটি নমুনা এলাকায় একজন করে প্রশিক্ষিত ও দক্ষ স্থানীয় মহিলা রেজিস্টার প্রতি মাসে থানা ভিজিট করে নির্ধারিত তফসিল ব্যবহার করে নিয়মিতভাবে তথ্য সংগ্রহ করে থাকে।
তিনি আরও জানান, ডিসেম্বর ২০২১ সাল পর্যন্ত এ কার্যক্রমটির তথ্য উপাত্ত ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে সংগ্রহ করা হয়। জানুয়ারি ২০২২ সাল থেকে বার্ষিক তফসিলসমূহ কম্পিউটার অ্যাসিসটেড পারসোনাল ইন্টারভিউয়িং পদ্ধতিতে সংগ্রহ করা হচ্ছে। একই সময় থেকে সিঙ্গেল রেকর্ডিং সিস্টেম অনুসরণ করে তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রম প্রবর্তন করা হয়েছে।
জেএন/এমআর