বিএনপি নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায় বলে অভিযোগ তুলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাসান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি একটি বড় দল, তারা রাষ্ট্রক্ষমতায় ছিল। আগামী জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি পূর্ণ শক্তি নিয়ে অংশগ্রহণ করুক এটা আমরা চাই। আমি তাদের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার অনুরোধ জানাব। কারণ আমরা ওয়াকওভার চাই না, খেলে জিততে চাই।
শুক্রবার (১৬ জুন) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন যাতে সবার অংশগ্রহণে একটি অবাধ, নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ, উৎসবমুখর হয়- সেটাই আমরা চাই। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, বিএনপি সবসময় নির্বাচন থেকে পালিয়ে যায়। মির্জা ফখরুল সাহেব, রিজভী সাহেব নির্বাচন থেকে পালিয়ে যাওয়ার অজুহাত তৈরি করতেই এসব বক্তব্য দিচ্ছেন।
বিএনপির উদ্দেশ্য নির্বাচন ভণ্ডুল বা প্রশ্নবিদ্ধ করা- এমনটা দাবি করে তিনি বলেন, বিএনপি নির্বাচনে জেতার নিশ্চয়তা চায়। সেটি পেলে অংশ নেবে, নাহলে নয়। কিন্তু এই নিশ্চয়তা তো জনগণ বা সরকার বা নির্বাচন কমিশন (ইসি) কেউই দিতে পারবে না। আর বিএনপি নির্বাচন বর্জন করলেও জনগণ যে ব্যাপকভাবে অংশ নেয়, সেটি সিটি করপোরেশন নির্বাচনেই প্রমাণ হয়েছে। কোন দল অংশ নিলো, তার চেয়েও বড় কথা নির্বাচনে জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণ।
নেতাকর্মীদের গ্রেফতার-মামলা দেওয়া নিয়ে বিএনপির অভিযোগের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, অগ্নি-সন্ত্রাসের হুকুমদাতা, অর্থদাতা হিসেবে বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা আছে। মামলা সরকার চালু করতে পারে না। অভিযুক্তদের বাড়িয়ে নেওয়া সময়, উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশ- এগুলোর মেয়াদ শেষ বা ভ্যাকেট হলে আদালতের নিয়ম অনুযায়ী আবার মামলা চালু হয়ে যায়। তেমন কিছু সংখ্যক মামলা চালু হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের শীর্ষ এই নেতা বলেন, রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলে, রাজনৈতিক অভিলাষ চরিতার্থ করতে জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছিল। যারা রাজনীতি করে না, রাজনীতি বোঝে না, জীবিকার তাগিদে ঘর থেকে বেরিয়েছিল, সেসব জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করা- এটা মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ, এর বিচার হওয়া বাঞ্ছনীয়। জনগণ চায় এর বিচার হোক।
বিএনপির আন্দোলন প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রায়ই তারা এমন কথা বলেন। রমজানের ঈদের আগেও বলেছিলেন- ঈদের পরে আন্দোলন। এখন তাদের কোরবানির ঈদের পরে আন্দোলন কী এ বছর, না কি আগামী বছর- সেটিই প্রশ্ন।
জেএন/এমআর